সায়নী ঘোষ —ফাইল চিত্র।
অভিষেকের পরামর্শ নিয়েই রাজনৈতিক পথচলা শুরু করলেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। সোমবার সকালে তৃণমূল ভবনে আসেন তিনি। সেখানে যুব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করতে তৃণমূল ভবনে আসেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত শনিবার পর্যন্ত তিনিই ছিলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি। সেই পদেই দায়িত্ব পেয়েছেন সায়নী। সেই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সায়নীকে শুভেচ্ছাও জানান অভিষেক। রাতেই সায়নী নিজের নতুন রাজনৈতিক জীবনের সূচনা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিও দেন।
বিবৃতিতে তৃণমূল যুবনেত্রী লিখেছেন, ‘তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী হিসেবে তৃণমূল ভবনে আজ আমার নতুন পথ চলা শুরু হল। প্রথম দিনই আমার মতো নবীনকে যে সমাদর দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। তৃণমূলের আদর্শই আমার এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা।’ তিনি আরও লিখেছেন, ‘আজ তৃণমূল ভবনে প্রথম দিনে মাননীয় সাংসদ ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা হল, যুব সংগঠন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে, তার সুপরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য চির কৃতজ্ঞ থাকব।’
দায়িত্ব গ্রহণের পর একের পর এক বর্ষীয়ান নেতার বাড়ি গিয়েছেন অভিষেক। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছেন সকলকে। আগামী দিনে পথচলার পরামর্শ নিয়েছেন। তাঁর দেখানো পথে চলেই দায়িত্ব নিয়ে অগ্রজ নেতাদের কথা মতো সংগঠন পরিচালনা করবেন বলে জানিয়েছেন সায়নী। তিনি লিখেছেন, ‘দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের দেখানো পথ ও প্রাথমিক স্তরের সমস্ত সক্রিয় কর্মীদের ভালবাসা ও আবেগকে সম্মান জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখব কথা দিচ্ছি।’ পাশাপাশি, যুব সভানেত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর যাঁরা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে সায়নীর বার্তা, ‘অসংখ্য শুভেচ্ছাবার্তা আমি পেয়েছি, তার জন্য সকলকে জানাই ধন্যবাদ। কিন্তু বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সমস্ত কর্মীদের সঙ্গে এই মুহূর্তে দেখা করা সম্ভব হচ্ছে না। অবস্থা কিছুটা ঠিক হলেই আমার সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করব।’