Coochbehar

কোচবিহারের ধরলা নদীতে ঝিনুক কুড়োতে গিয়ে ডুবে গেল তিন ভাইবোন, মামাবাড়িতে এসে বিপত্তি

স্থানীয় কয়েক জন মহিলা এই ঘটনা দেখে চিৎকার করলে এক ব্যক্তি ছুটে আসেন। তিনি নদীতে নেমে প্রথমে অঙ্কুশকে উদ্ধার করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উদ্ধারের সময় অঙ্কুশ শ্বাস নিচ্ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ২২:০১
Share:
ধরলা নদীতে ডুবে মৃত্যু হল তিন কিশোর-কিশোরীর।

ধরলা নদীতে ডুবে মৃত্যু হল তিন কিশোর-কিশোরীর। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

মামার বাড়িতে গিয়ে মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে নদীতে ঝিনুক কুড়োতে গিয়েছিল দুই ভাইবোন। ধরলা নদীতে ডুবে মৃত্যু হল তিন কিশোর-কিশোরীর। ঘটনাটি ঘটেছে মাথাভাঙা-১ ব্লকের জোড়পাটকি পঞ্চায়েতের হাসানের ঘাট এলাকায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসানের ঘাট এলাকায় মামা অনুকূল বর্মণের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল দিদি সুস্মিতা অধিকারী (১৩) এবং তার ভাই আকাশ অধিকারী (১১)। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুস্মিতা, আকাশ তাদের মামাতো ভাই অঙ্কুশ বর্মণ (১০)-এর সঙ্গে ধরলা নদীতে ঝিনুক কুড়োতে যায়। নদীতে নেমে তিন জনই তলিয়ে যায় জলে। স্থানীয় কয়েক জন মহিলা এই ঘটনা দেখে চিৎকার করলে এক ব্যক্তি ছুটে আসেন। তিনি নদীতে নেমে প্রথমে অঙ্কুশকে উদ্ধার করেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, উদ্ধারের সময় অঙ্কুশ শ্বাস নিচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে মাঝপথেই তার মৃত্যু হয়।

কিছু ক্ষণ পরে সুস্মিতা এবং আকাশের মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়েরা। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মৃতদেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মজনু মিঞা বলেন, ‘‘এক মহিলা চিৎকার করছিল নদীতে বাচ্চা পড়ে গিয়েছে। দৌড়ে গিয়ে জলে নেমে প্রথমে একটি বাচ্চাকে উদ্ধার করি। তখনও তার শ্বাস ছিল। তাকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিই। একে একে আরও দু’টি বাচ্চার দেহ জল থেকে উদ্ধার করি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement