বজ্রাঘাতে জখমকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
বিকেল হতেই ঝড়বৃষ্টি এবং বজ্রপাত। আর তাতেই সোমবার রাজ্য জুড়ে মৃত্যু হল বেশ কয়েক জনের। এর মধ্যে হুগলি জেলায় ১১, মুর্শিদাবাদে ৯, বাঁকুড়ায় ২ এবং দুই মেদিনীপুরে ৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এই প্রতিবেদন যখন লেখা হচ্ছে তখন সব মিলিয়ে সারা রাজ্যে বজ্রপাতে মোট ২৬ জনের প্রাণ গিয়েছে। হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
হুগলির খানাকুলে বাজ পড়ে একই পরিবারের ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। খানাকুলে বজ্রাঘাতে মারা গিয়েছে আরও ২ জন। পোলবার দাদপুরে প্রাণ গিয়েছে ৩ জনের। তারকেশ্বরেও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, হরিপাল এবং সিঙ্গুরে এক জন করে ২ জনের প্রাণ গিয়েছে। সব মিলিয়ে হুগলি জেলাতেই বজ্রাঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন।
মর্মান্তিক ছবি মুর্শিদাবাদেও। শুধুমাত্র জঙ্গিপুর মহকুমাতেই বজ্রপাতে মারা গিয়েছেন ৭ জন। বহরমপুরে মৃত্যু হয়েছে আরও ২ জনের। সোমবার দুপুরে যখন ঝড়বৃষ্টি শুরু হয় সেই সময় অনেকেই জমিতে চাষের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। আহত হয়েছেন ৭ জন। তাঁদের জঙ্গিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
সোমবার দুপুরে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনাতেও দু’টি পৃথক জায়গায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা-সহ ২ জনের। অন্য দিকে, মেদিনীপুরে ২ জন নিহত হয়েছেন। বাঁকুড়ায় নিহত ২। হতাহতরা প্রায় প্রত্যেকেই সে সময় মাঠে চাষের কাজে ব্যস্ত ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে।
রাজ্যে বজ্রপাতে হতাহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। টুইট করে জিনি জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করা হবে।