দুর্ঘটনাগ্রস্ত ডাম্পারটিকে ক্রেন দিয়ে রাস্তা থেকে সরানো হয়। —নিজস্ব চিত্র।
ধূপগুড়ির সাম্প্রতিক ভয়াবহ পথদুর্ঘটনার পরেও হুঁশ ফেরেনি জাতীয় সড়কের ডাম্পার-লরি চালকদের। নিয়মকে তোয়াক্কা না করে বেলাগাম ভাবে ওভারলোড করে জাতীয় সড়কে হু হু করে চলছে ডাম্পার-লরি। রবিবার বর্ধমান-বোলপুর জাতীয় সড়কে ফের দুর্ঘটনায় পড়ল পাথর বোঝাই একটি ডাম্পার। স্টিয়ারিং লক হয়ে রাস্তার ধারের একটি ট্রান্সফরমারের খুঁটিতে ধাক্কা মেরে তা উল্টে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই দুর্ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও আহত হয়েছেন ডাম্পারচালক। সেই সঙ্গে দুর্ঘটনার সময় বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লাগায় এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যাহত হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ বর্ধমান-বোলপুর ২ নম্বর-বি জাতীয় সড়কের ভাতারের নতুনগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ডাম্পারটি।
প্রত্যক্ষদর্শী এক স্থানীয় বাসিন্দা মনোজ দাস বলেন, “সকাল ৬টা নাগাদ জাতীয় সড়কের নতুনগ্রাম মোড়ের কাছে একটি পাথর বোঝাই ডাম্পার উল্টে যায়।”
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভাতার থানার ওড়গ্রাম ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার পর ওই ডাম্পার থেকে পাথর খালি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পর ক্রেন দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত ডাম্পারটিকে রাস্তা থেকে সরানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ।
দুর্ঘটনায় আহত ডাম্পারচালক নিমাই দাস বলেন, “গাড়ির স্টিয়ারিং আটকে যাওয়ার জন্য বিদ্যুতের খুঁটিতে গিয়ে জোরে ধাক্কা লাগে ডাম্পারটির।” দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষজন এবং ভাতার থানার পুলিশকর্মীরা আহত চালককে উদ্ধার করে চিকিৎসার তাঁর ব্যবস্থা করেন। এলাকায় বিদ্যুৎ ফেরা নিয়ে দফতরের এক কর্মী আব্দুল কালাম বলেন, “আশা করছি যে ভাবে কাজ হচ্ছে তাতে বিকেলের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা যাবে।”
মঙ্গলবার ধূপগুড়িতে এক ভয়াবহ পথদুর্ঘটনায় পড়েছিল কনেযাত্রী বোঝাই গাড়ি। বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে একটি পাথরবোঝাই ডাম্পারের নীচে চাপা পড়ে নিহত হয়েছিলেন ১৪ জন।
ওই দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, কনেযাত্রীদের গাড়িগুলো নিয়ম না মেনে জাতীয় সড়কের উল্টো লেন ধরে যাওয়ার ফলেই দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। তবে ওই দুর্ঘটনার পরও যে জাতীয় সড়কে চলা বহু গাড়ি-ডাম্পার-লরি নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না, ফের এক বার তা প্রকাশ্যে এল বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।