ইডি দফতরে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার আবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে পঞ্চম বার ইডি দফতরে হাজিরা দিলেন হুগলির তৃণমূলের যুব নেতা। বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সময় সল্টলেকের সিজিও দফতরে (যেখানে ইডির দফতর রয়েছে) শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
বুধবারও শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডির আধিকারিকরা। প্রায় ৭ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁর কাছ থেকে সম্পত্তির নথি চাওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তার পর বৃহস্পতিবার আবার শান্তনুকে তলব করা হয়। সেই মতো বিকেল ৪টের পর সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তৃণমূল নেতা।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হুগলির বলাগড়ে আরও এক তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পরই শান্তনুর নাম উঠে আসে। এই দুর্নীতিতে তাঁর সংস্রবের কথা প্রথম থেকেই অস্বীকার করেছেন শান্তনু। কুন্তলকে তিনি চেনেন না বলেও দাবি করেছেন। তবে ইডির দাবি, ২০১৪ সাল থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কুন্তল এবং শান্তনু। ইডি সূত্রে দাবি, এই কারবারে কুন্তলের ‘মেন্টর’ ছিলেন শান্তনু। তদন্তকারীদের দাবি, প্রভাবশালীদের সঙ্গে লেনদেনের দায়িত্বে ছিলেন শান্তনু। এই দুর্নীতিকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলের দাবি, শান্তনুর সঙ্গে কুন্তলই তাঁর পরিচয় করিয়েছিলেন।
শান্তনু প্রসঙ্গে কুন্তল বলেছেন, ‘‘শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও কথা আমি বলতে পারব না। আমি জানি না।’’ তিনি এ-ও দাবি করেন, তাপসের সঙ্গে শান্তনুর আলাপ করিয়ে দেননি তিনি। নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে তাঁদের তিন জনের কোনও বৈঠক হয়নি বলেও জানান কুন্তল।
গত ২০ জানুয়ারি ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হুগলির বলাগড়ের বারুইপাড়া এলাকায় শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। অভিযানে শামিল ছিলেন ১২ জন আধিকারিক। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশিতে হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের বাড়ি থেকে একাধিক নথি পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও আছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে।