প্রতীকী ছবি।
দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে সঙ্ঘাত তো ছিলই। এ বার ই পস মেশিনে নতুন সফটওয়্যার আপলোড নিয়ে খাদ্য দফতরের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়ালেন রেশন ডিলাররা। সম্প্রতি রেশন ডিলারদের কাছে থাকা ই-পস মেশিনে নতুন সফটওয়্যার আপলোড করার কাজ শুরু করে খাদ্য দফতর। রেশন ডিলারদের অভিযোগ, কোনওরকম পরিকাঠামো তৈরি ছাড়াই নতুন সফটওয়্যার আপলোডের কাজ শুরু করেছে খাদ্য দফতর। আর সেখানেই ঘটেছে বিপত্তি। এই কাজ শুরু হওয়ায় ডিলারদের চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রেশন ডিলাররা। তাদের অভিযোগ, রাজ্য খাদ্য দফতর কোনওরকম প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো তৈরি না করে, এবং রেশন ডিলারদের কোনওরকম প্রশিক্ষণ না দিয়েই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশমতো তাড়াহুড়ো করে ই-পস মেশিনের সফটওয়্যার পরিবর্তন শুরু করেছে।
তাদের আরও অভিযোগ, সফটওয়্যার পরিবর্তনের পর দোকানে আঙুলের ছাপ না মেলার ফলে খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে বহু গ্রাহককে। এর ফলে রেশন ডিলারদের সঙ্গে গ্রাহকদের সম্পর্কের অবনতি ঘটছে। বহু ক্ষেত্রে গ্রাহকদের দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। নিজেদের অভিযোগের কথা খাদ্য দফতরের শীর্ষকর্তাদের বারবার জানিয়েও কোনও ফল হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেছে রেশন ডিলারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলারস ফেডারেশন। গত জুন মাসেও এই প্রক্রিয়া শুরু করতে গিয়ে বাধা পেতে হয়েছে খাদ্য দফতরকে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা না নিয়ে আবারও একই কাজ শুরু করায় রাজ্যের রেশন পরিষেবা ভেঙে পড়েছে বলেই অভিযোগ করেছে রেশন ডিলারদের ওই সংগঠন।
সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বলেন, "আমরা আমাদের অসুবিধার কথা বহুবার বহু রকম ভাবে খাদ্য দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের জানিয়েছি। কিন্তু তাঁরা ঠান্ডা ঘরে বসে সেই সব অভিযোগের কথা না শুনে উদাসীন হয়ে থাকছেন। তাই সমস্যা দিন দিন বাড়ছে।" তবে খাদ্য দফতরের তরফে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার যেমন নির্দেশ দিয়েছে সেই নির্দেশগুলি মেনেই খাদ্য দফতরকে চলতে হচ্ছে। এই কাজে খাদ্য দফতর বরাবরই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই রেশন ডিলারদের উচিত কাজে সহায়তা করা। কারণ সারা ভারতের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের খাদ্যের বন্টন প্রক্রিয়ায়কেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সামিল করতে চায় রাজ্য সরকার।