নিজস্ব চিত্র।
রাত পোহালেই রথযাত্রা। কিন্তু অতিমারির কারণে এ বারেও রথযাত্রা পালিত হবে না মেদিনীপুর শহরে। নিয়ম অনুযায়ী সেবাইতদের কাঁধে চাপিয়ে জগন্নাথ মন্দির থেকে বিগ্রহ নিয়ে যাওয়া হবে মাসির বাড়ি। ঐতিহ্যবাহী এই রথকে ঘিরে মেদিনীপুর এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে প্রচুর মানুষ আসেন। কিন্তু করোনার জেরে গত বারের মতো এ বারও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটি।
প্রায় আড়াইশো বছর আগের এই মন্দির থেকে রথ এলাকা পরিক্রমা করে। মল্লিক বাড়ির এক জমিদার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জগন্নাথ মন্দিরের। পরবর্তী কালে শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির সংস্কার কমিটি দায়িত্ব নেয়। বর্তমানে ২৭ জন কমিটির সদস্য রয়েছেন। কমিটির সম্পাদক পল্টু সেন বলেন, “করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রভু জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব গত বছরের মতো এ বছরও অনাড়ম্বর ভাবে পালিত হবে। প্রশাসনের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাত দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। মন্দির থেকে কিছুটা দূরে নতুনবাজার এলাকায় রয়েছে মাসির বাড়ি। কিন্তু সেখানে বিগ্রহ নিয়ে যাওয়া হবে না। মন্দিরের পাশে অফিস সংলগ্ন এলাকায় অস্থায়ী মাসির বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। সেখানেই বিগ্রহ নিয়ে যাওয়া হবে।”
রথের রশিতে টান পড়বে না গুপ্তিপাড়াতেও। তবে যে সব জায়গায় রথ উৎসব পালিত হচ্ছে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কোচবিহারে রথ বার করা হলেও, মেলা হবে না বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। জমায়েত এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কোচবিহারের দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড জানিয়েছে।
এ বারেও শুধু নিয়মটুকু মেনেই হবে বর্ধমান রাজবাড়ির প্রায় সাড়ে তিন শতাব্দীর প্রাচীন রথ।রাজ মন্দিরের সেবাইত উত্তম মিশ্র বলেন, “এ বারে শুধু সকাল সাড়ে আটটায় রথের রশিতে টান পড়বে।কিন্তু সব হবে কোভিড বিধিকে সম্মান দিয়ে। বেশি মানুষের জমায়েতে অনুমতি দেওয়া হবে না।মাস্ক, স্যানিটাইজার থাকবে।সবাইকে মাস্ক পড়ে আসতে হবে। না হলে মন্দিরে প্রবেশ নিষেধ।”
করোনা আবহে দ্বিতীয়বারের জন্য বেড়ি পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের ঐতিহ্যবাহী ২৪৬ বছরের রথের চাকায়। প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এবারও রথের দড়িতে টান পড়ছে না।