মৃতদের পরিজনদের অভিযোগের তির তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন-সহ ভাদু শেখের অনুগামীদের দিকে। মৃতের আত্মীয় মিহিলাল শেখের দাবি, আনারুলই পুলিশকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন। আনারুলের নেতৃত্বে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি তাঁর। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনারুল।
নিজস্ব চিত্র।
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে হত্যালীলা চলেছিল কী ভাবে? মৃত তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের অনুগামীরাই কি খুনের পাল্টা হত্যালীলা চালাল? বগটুই গ্রামে সোমবার রাত থেকে ঠিক কী কী ঘটেছিল? সব প্রশ্নেরই উত্তর অধরা। তদন্ত শুরু করে দিয়েছে তিন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল। কিন্তু এর মধ্যেই মৃতের পরিজনদের বক্তব্যে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুড়ে মৃত ৮ জনের পরিজনেরা দাবি করছেন, সে দিন রাতে প্রথমে ৮ জনকে খুন করা হয়। তার পর ডিজেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক কালে সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী হয়েছে রাজ্য। ঘটনাস্থল বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রাম। সোমবার রাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যুর পর গ্রামের একাধিক বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। আতঙ্কে গ্রামেরই বাসিন্দা জনৈক সঞ্জু শেখের পাকাবাড়িতে আশ্রয় নেন মহিলা ও শিশুরা। সেখানেই ‘পুড়ে মৃত্যু’ হয় আট জনের। মৃতদের আত্মীয় জোহরা বিবি বলেন, ‘‘সঞ্জুর পাকাবাড়িতে ঢুকে সবাইকে খুন করে। তার পর ডিজেল দিয়ে আগুন দিয়ে দেয়।’’
মৃতদের পরিজনদের অভিযোগের তির তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন-সহ ভাদু শেখের অনুগামীদের দিকে। মৃতের আত্মীয় মিহিলাল শেখের দাবি, আনারুলই পুলিশকে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন। আনারুলের নেতৃত্বে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি তাঁর। যদিও অভিযোগ মানতে চাননি আনারুল। তিনি বলেন, ‘‘উপপ্রধানের মারা যাওয়ার খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়েছিলাম। হাসপাতাল থেকে থানায় এসেছি। সিসিটিভিতে তার প্রমাণ আছে। কেউ দেখাক আমি ওই সময় গ্রামে গিয়েছিলাম। ভাদু শেখকে যারা খুন করেছে, তারাই আগুন লাগিয়েছে। তৃণমূলকে বদনাম করতেই আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে।’’