Rampurhat

Rampurhat Clash: আত্মীয় পরিচয়ে দেহ শনাক্ত করা আলাউদ্দিন কে? মৃতের পরিজনদের প্রশ্নে বাড়ছে সন্দেহ

মিহিরুল বলেন, ‘‘আলাউদ্দিন শেখ নামে এক জনকে দেহ দিয়ে দেওয়া হল। আমরা চেয়েও দেহ পেলাম না। ঘটনার দিন আমরা বার বার আনারুল শেখ ও পুলিশকে ফোন করে আমাদের সাহায্য করার কথা বলি। কিন্তু কেউ আমাদের পাত্তা দেয়নি। প্রশাসনের কোনও সহযোগিতা পাইনি। আমরা আনারুলের ফাঁসি চাই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২২ ০৯:৪৮
Share:

নিজস্ব চিত্র।

মঙ্গলবার রাতেই শেষকৃত্য হয়েছে রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পুড়ে মৃত ৮ জনের। জনৈক আলাউদ্দিন শেখ নিজেকে মৃতদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় পরিচয়ে দেহগুলি শনাক্ত করেন। তার পর জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। কিন্তু রাত পোহাতে না পোহাতেই নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

ঘটনার পর বগটুই ছেড়ে ওই পরিবার আশ্রয় নিয়েছে সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সেখানেই ঘটনা সম্পর্কে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন, নিজেকে মৃতদের আত্মীয় পরিচয় দেওয়া মিহিরুল শেখ ও বানিরুল শেখ। তাঁদের দাবি, নিজেকে মৃতদের দূর সম্পর্কের আত্মীয় বলে পরিচয় দিয়ে ৮ জনের শেষকৃত্য করলেও, আলাউদ্দিন শেখের সঙ্গে মৃতদের কোনও সম্পর্কই নেই। পাশাপাশি মিহিরুলের দাবি, সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ শনাক্ত করা হল কী করে? কেনই বা তড়িঘড়ি শেষকৃত্য সম্পন্ন হল?

মিহিরুল, বানিরুলরা রাজ্য পুলিশের তদন্তে আস্থা রাখতে পারছেন না। তাঁদের দাবি সিবিআই তদন্তের। মিহিরাল বলেন, ‘‘আলাউদ্দিন শেখ নামে এক জনকে দেহ দিয়ে দেওয়া হল। আমরা চেয়েও দেহ পেলাম না। ঘটনার দিন আমরা বার বার আনারুল শেখ ও পুলিশকে ফোন করে আমাদের সাহায্য করার কথা বলি। কিন্তু কেউ আমাদের পাত্তা দেয়নি। প্রশাসনের কোনও সহযোগিতা পাইনি। আমরা আনারুলের ফাঁসি চাই।’’ আনারুল শেখ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান।

Advertisement

আরও একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন বানিরুল। তাঁর দাবি, বাড়িতে মোট ১০ জনের পুড়ে মৃত্যু হয়েছে। আট জনের কথা প্রশাসন মেনে নিয়েছে। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না আরও দুটি মৃতদেহের।

মঙ্গলবার রাতে আলাউদ্দিন জানিয়েছিলেন, মৃতদের মধ্যে রয়েছেন তাঁর শ্যালক, শ্যালিকা এবং তাঁদের সন্তান। এ ছা়ড়াও আরও কয়েক জন তাঁর পরিচিত বলে জানান আলাউদ্দিন। তাঁর দাবি, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন মিনা বিবি। তাঁর বয়স ৪৫ বছর। এ ছাড়া নূরনিহার বিবি (৫৮), রুপালি বিবি (৪০), বানি শেখ (৪০), মিহির শেখ (৩৫), নেকলাল শেখ (৪০) ও রয়েছেন। রয়েছে দু’টি শিশুও। স্বভাবতই কে আত্মীয় এবং কে ঠিক বলছেন, তা নিয়েই এখন ধন্দ বাড়ছে রামপুরহাটে।

Advertisement

ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে ১১ জন গ্রেফতার হয়েছেন ভাদু শেখ খুনের ঘটনায়, বাকিদের অগ্নিসংযোগের মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সবাইকেই বুধবার রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement