২০২৫ সালের শুরুতে এর মধ্যেই চার জন পড়ুয়া কোটায় আত্মঘাতী হয়েছেন। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
রাজস্থানের কোটায় কেন বার বার আত্মঘাতী হচ্ছেন পড়ুয়ারা? নেপথ্যে তাঁদের ‘প্রেমপিরিতি’ এবং সেই সংক্রান্ত আবেগকে অনেকাংশে দায়ী করলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলাওয়ার। এ বিষয়ে অভিভাবকদেরও সতর্ক হওয়ার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। তবে একেই একমাত্র কারণ বলেননি মন্ত্রী। পড়াশোনার বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের যাতে বেশি চাপ না-দেওয়া হয়, সে দিকেও নজর রাখতে বলেছেন।
ডাক্তারি এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কেরিয়ার গড়তে দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার পড়ুয়া কোটায় যান। সেখানে কোচিং সেন্টারে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা এবং অন্যান্য প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রস্তুত করানো হয়। কিন্তু প্রতি বছর এই শহর থেকে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার খবর আসে। ২০২৪ সালে কোটায় মোট ১৭ জন আত্মঘাতী হয়েছেন। ২০২৫ সালের ইতিমধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। দিন দিন পরিসংখ্যান বাড়ছে। শিক্ষামন্ত্রীকে একটি অনুষ্ঠানে শনিবার এই সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হয়েছিল।
দিলাওয়ার বলেন, ‘‘আমি অভিভাবকদের সতর্ক করতে চাই। আমার কথায় অনেকেরই খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু অভিভাবকদের আরও সতর্ক এবং যত্নশীল হওয়া দরকার। সন্তানদের উপর একেবারেই চাপ দেওয়া উচিত নয়। কারণ, তাঁদের নিজস্ব আগ্রহের জায়গা থাকে। সেখানে চাপ পড়লে ওঁরা অবসাদে ডুবে যান। এ ক্ষেত্রে বন্ধুবান্ধবদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু ঘটনার ক্ষেত্রে আত্মহত্যার জন্য দায়ী প্রেমপিরিতি। ফলে এ সব ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে বাবা-মাকেই।’’
সন্তানকে বাইরে পড়তে পাঠানোর পর অনেক বাবা-মা আর সে ভাবে খোঁজ রাখেন না। কিন্তু বাইরে গেলেও সন্তানদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা দরকার, মনে করেন দিলাওয়ার। তিনি জানিয়েছেন, কোটার শিক্ষকদেরও সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজনীয়তা আছে।