দুর্ঘটনার পর করমণ্ডল এক্সপ্রেস। —নিজস্ব চিত্র।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার এবং আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করল রেল। শুক্রবার রাতে টুইটে এ কথা জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানান, ওড়িশায় মর্মান্তিক এই রেল দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে তাঁর মন্ত্রক। গুরুতর আহতদের ২ লক্ষ এবং অল্প চোট-আঘাত যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, শুক্রবার রাতেই রেলমন্ত্রী ওড়িশার বালেশ্বরের ওই দুর্ঘটনাস্থলে আসছেন বলেও জানিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছচ্ছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান অনিলকুমার লাহোটি।
শুক্রবার দুপুর সওয়া ৩টে নাগাদ শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়ে ১২৮৪১ আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানগা বাজারের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ২৩ কামরার ট্রেনটি। স্থানীয় সূত্রে খবর, করমণ্ডল এক্সপ্রেস প্রথমে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি মালগাড়িতে। এর ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের প্রথম তিনটি কামরা বাদে সব ক’টি কামরাই লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনটি মালগাড়ির উপর উঠে যায়। রেল ইতিমধ্যে ৩২ জন যাত্রীর মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ১৫০। উদ্ধারকাজ চলছে দ্রুতগতিতে। রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন ভুবনেশ্বর, কলকাতা থেকে উদ্ধারকারী দল আনা হয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য সরকারের উদ্ধারকারী দল এবং বায়ুসেনার দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এই রেল দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বাংলার অনেক যাত্রী রয়েছেন। ইতিমধ্যে নবান্ন থেকে একটি প্রতিনিধি দল আসছে বালেশ্বরে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওড়িশা সরকারের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে উদ্ধারকাজ চলবে। অন্য দিকে, করমণ্ডল দুর্ঘটনার পর টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। কী পরিস্থিতি, তার খোঁজখবর রাখছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি লেখেন, ‘‘ওড়িশার বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার খবর অত্যন্ত বেদনাদায়ক। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল (এনডিআরএফ) ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। অন্যান্য দলও উদ্ধারকাজে ছুটে গিয়েছে।’’