— প্রতীকী ছবি।
গ্রামের পুকুরের পাশের জঙ্গল থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার। গলায় ফাঁসের দাগ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বীরভূমের ইলামবাজারের ঘুরিষায়। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। গ্রামবাসীদের সন্দেহ, খুন করে যুবককে ফেলে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু কী কারণে খুন, খুঁজতে গিয়ে ধন্দে মৃতের পরিবারও।
ঘুরিষার বাসিন্দা শেখ নাজিমুদ্দিন। বছর ১৮-এর নাজিমুদ্দিন এলাকার একটি দোকানে কাজ করতেন। স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, হাসিখুশি এবং নির্বিরোধী স্বভাবের নাজিমুদ্দিন সোমবার রাতে খাওয়া সেরে বাড়ি থেকে বেরোন। তার পর আর কেউ তাঁকে দেখতে পাননি। রাতেও বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন খোঁজখবর করতে শুরু করেন। সকালে এলাকারই একটি পুকুরের পাড়ে জঙ্গলে এক যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন এক মহিলা। তিনি চিৎকার করে গ্রামের কয়েক জনকে ডেকে আনেন। দেখা যায়, সেখানেই পড়ে রয়েছে নাজিমুদ্দিনের নিথর দেহ। খবর পেয়ে ছুটে আসে মৃতের পরিবারের লোকজন। নাজিমুদ্দিনের গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে বলে দাবি গ্রামবাসীদের। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে দেহ দেখে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে নাজিমুদ্দিনকে। কিন্তু কে বা কারা তাঁকে খুন করল? খুনের কারণই বা কি? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
নাজিমুদ্দিনের আত্মীয়দের অভিযোগের আঙুল দুই ব্যক্তির দিকে। যদিও পুলিশ এ ব্যাপারে এখনও কোনও মন্তব্য করেনি। তারা অপেক্ষা করছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার জন্য। মৃত্যুর কারণ জানা গেলে বাকি তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে সুবিধা হবে বলে মনে করছে পুলিশ।