এই বারও বসন্ত উৎসব হবে না বিশ্বভারতীতে। — ফাইল চিত্র।
এ বারও ছেদ পড়ল বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যে। করোনা পর্বের মতো চলতি বছরেও আয়োজন করা হবে না বসন্ত উৎসবের। তার বদলে করা হবে ঘরোয়া অনুষ্ঠান। সোমবার সন্ধ্যায় সেই মর্মে প্রকাশিত হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। কর্তৃপক্ষের এ হেন সিদ্ধান্তে স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া, প্রাক্তনী, আশ্রমিক থেকে শুরু করে পর্যটকেরাও। কারণ বসন্ত উৎসবকে ঘিরে পর্যটকদের ভিড় দেখা যায় বিশ্বভারতীতে। সেই ছবি দেখা যাবে না এই বারও।
করোনা পর্যায়ে পর পর দু’বছর বসন্ত উৎসব স্থগিত হয়ে গিয়েছিল বিশ্বভারতীতে। গত বারও হয়নি বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী সেই উৎসব। এই আবহে চলতি বছরে বসন্ত উৎসব হবে কি না তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই জল্পনায় ইতি টেনে দিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছেন, এই বারও দোলের দিন হবে না বসন্ত উৎসব। তার বদলে আয়োজন করা হয়েছে ‘ঘরোয়া’ অনুষ্ঠান বসন্ত বন্দনার। ওই ‘ঘরোয়া’ অনুষ্ঠানের দিন সকালে শোভাযাত্রা এবং মঞ্চ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী পড়ুয়াদের আগামী মঙ্গল এবং বুধবার সঙ্গীত ভবনে মহড়ায় হাজির থাকার কথাও বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। সোমবারই জারি করা আরও একটি বিজ্ঞপ্তিতে ২ মার্চ গৌরপ্রাঙ্গণে লোকসংস্কৃতি উৎসব এবং বৈতালিক হবে বলেও জানা হয়েছে। ৩ মার্চ ভোরে গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক, সকালে শোভাযাত্রা এবং সন্ধ্যায় নৃত্যনাট্য ‘মায়ের খেলা’ অনুষ্ঠিত হবে বলে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। দোলের দিন অর্থাৎ ৭ মার্চ দোলের দিন সন্ধ্যায় গৌরপ্রাঙ্গণে পূর্ণদাস বাউল গান গাইবেন বলেও জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে।
গত বছরও কর্তৃপক্ষ বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেননি। তবে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা তার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বোলপুরেও বিভিন্ন জায়গায় পৃথক ভাবে আয়োজন করা হয়েছিল বসন্ত উৎসবের। তাতে যোগ দিয়েছিলেন পর্যটকরা। এ বারও বোলপুরের বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠিত হবে বসন্ত উৎসব। বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসবের বদলে পর্যটকদের ভরসা করে থাকতে হবে সেই দিকেই।