বিশ্বকাপ জেতার পরে এ বার ফিফার সেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন লিয়োনেল মেসি। আর কারা রয়েছেন দলে? —ফাইল চিত্র
বিশ্বের সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে ফিফা। দলে যেমন লিয়োনেল মেসি, কিলিয়ান এমবাপের মতো তারকা ফুটবলার রয়েছেন, তেমনই রয়েছে চমকও। বিশ্বের সেরা গোলরক্ষক হওয়ার পরেও ফিফার সেরা একাদশে সুযোগ পাননি এমিলিয়ানো মার্তিনেস। বিশ্বকাপ না খেলেও দলে রয়েছেন আর্লিন হালান্ডের মতো তারকা।
ফিফার সেরা একাদশের গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া। বেলজিয়ামের হয়ে বিশ্বকাপে ভাল খেলতে না পারলেও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ক্লাব ফুটবলে ভাল খেলেছেন কুর্তোয়া। গত বছর মাদ্রিদকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানোর পিছনে বড় হাত ছিল তাঁর। অন্য দিকে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে ভাল খেললেও ক্লাব ফুটবলে ভাল খেলতে পারেননি মার্তিনেস। সেই সঙ্গে বিশ্বকাপ চলাকালীন একের পর এক বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। সেই কারণে হয়তো মার্তিনেসকে দলে রাখা হয়নি।
দলের তিন ডিফেন্ডার পর্তুগাল ও বায়ার্ন মিউনিখের জোয়াও কানসেলো, মরক্কো ও পিএসজির আশরফ হাকিমি এবং নেদারল্যান্ডস ও লিভারপুলের ভার্জিল ভ্যান ডাইক। এই তিন জনের মধ্যে সব থেকে বেশি নজর কেড়েছেন হাকিমি। মরক্কোকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তোলার পিছনে তাঁর বড় ভূমিকা ছিল।
তিন মিডফিল্ডারের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন ব্রাজিল ও ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের কাসেমিরো, বেলজিয়াম ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কেভিন দ্য ব্রুইন এবং ক্রোয়েশিয়া ও রিয়াল মাদ্রিদের লুকা মদ্রিচ। এই তিন জনই ক্লাব ও দেশের জার্সিতে ভাল খেলেছেন। তাই দলে সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা।
ফিফার সেরা একাদশের চার স্ট্রাইকার হলেন ফ্রান্স ও রিয়াল মাদ্রিদের করিম বেঞ্জেমা, ফ্রান্স ও পিএসজির কিলিয়ান এমবাপে, নরওয়ে ও ম্যাঞ্চেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড এবং আর্জেন্টিনা ও পিএসজির লিয়োনেল মেসি।
বিশ্বের সেরা একাদশে এই নিয়ে ১৬ বার সুযোগ পেলেন মেসি। কিন্তু মেসি ছাড়া দলে আর্জেন্টিনার আর কোনও ফুটবলার সুযোগ পাননি। আবার বেঞ্জেমা, এমবাপে ছাড়া ফ্রান্সের বিশ্বকাপের দলেরও কোনও ফুটবলার জায়গা পাননি এই দলে।