‘বাজ়িগর’-এর নেপথ্যকাহিনি ফাঁস করলেন সলমন খান। ফাইল চিত্র।
১৯৯৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল ছবি। তিন দশক পরেও দর্শক ও অনুরাগীদের পছন্দের ছবি ‘বাজ়িগর’। বলিউডের ‘বাদশা’ শাহরুখ খানের অভিনয় জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ছবিও বটে। আব্বাস-মুস্তান পরিচালিত এই ছবিই দর্শকের নজরে এনেছিল বলিউডে সদ্য পা রাখা তরুণ অভিনেতাকে। সে দিক থেকে ‘বাজ়িগর’ শাহরুখের কেরিয়ারের অন্যতম মাইলফলক। অথচ এই ছবির জন্য নাকি পরিচালকদ্বয়ের প্রথম পছন্দ ছিলেন না শাহরুখ। ছবিতে ভিকি মলহোত্রর চরিত্রে অন্য এক তারকাকে ভেবেছিলেন তাঁরা। তিনি সলমন খান। এক অনুষ্ঠানে এসে এ কথা ফাঁস করলেন স্বয়ং বলিউডের ‘ভাইজান’।
শাহরুখের কেরিয়ারের অন্যতম মাইলফলক ছবি ‘বাজিগর’। ছবি: সংগৃহীত।
ঠিক কী কারণে ‘বাজিগর’ কে না বলেছিলেন সলমন? অভিনেতা বলেন, ‘‘ছবির চিত্রনাট্য আমার পছন্দ হয়েছিল, তবে বেশ কিছু জায়গা খুব নেতিবাচক মনে হয়েছিল। আমি আব্বাস-মুস্তানকে বলেছিলাম, ছবিতে মায়ের একটা চরিত্র আনতে। তখন ওঁরা দু’জনেই আমার কথা শুনে হেসেছিলেন।’’ সলমন সরে দাঁড়ানোর পর চরিত্রটির জন্য প্রস্তাব যায় শাহরুখের কাছে। অবশেষে ওই চরিত্রে অভিনয় করেন শাহরুখই। কেরিয়ারের শুরুর দিকেই খলনায়ক চরিত্রে অভিনয় করার ঝুঁকি নিয়েছিলেন শাহরুখ। কাজ করেছিলেন ‘ডর’, ‘অঞ্জাম’-এর মতো ‘অ্যান্টি-হিরো’ ছবিতে। তবে, এই তিন ছবি শাপে বর হয়েছিল তাঁর জন্য। মুক্তির ৩০ বছর পরেও আজও ‘বাজ়িগর’-এর জন্য অনুরাগীদের কাছে সমান জনপ্রিয় শাহরুখ।
শুধু সলমনই নন, ‘বাজ়িগর’ ছবি নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন অভিনেতা-পরিচালক দীপক তিজোরিও। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি ‘আ কিস বিফোর ডাইং’ ছবি দেখার পরে আব্বাস-মুস্তানের কাছে যাই। ছবির ভাবনা ওঁদের পছন্দ হয়েছিল। আমি সেই সময় খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলাম।’’ শোনা যায়, দীপকের কাছে ছবির চিত্রনাট্য শোনার পর খলনায়কের চরিত্রে শাহরুখকে নির্বাচন করেন পরিচালকদ্বয়।