Amartya Sen

অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’-এর হুঁশিয়ারি, নোটিস জারি করল বিশ্বভারতী

বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারের তরফ থেকে একটি নোটিস জারি করা হয়েছে। যে নোটিস পাঠানো হয়েছে অমর্ত্য সেনের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:৩৭
Share:

ফাইল চিত্র।

বিশ্বভারতীর শুনানিতে উপস্থিত না থাকার ফলে অমর্ত্য সেনের বিরুদ্ধে ‘কড়া পদক্ষেপ’ করতে চলেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৯ তারিখ বেলা ১২টা নাগাদ ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী ওই ‘পদক্ষেপ’ করা হবে— এই মর্মে অমর্ত্যের আইনজীবীকে ইমেলে নোটিস পাঠিয়েছেন বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রার।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারের তরফে একটি নোটিস জারি করা হয়। যে নোটিস পাঠানো হয়েছে অমর্ত্যের আইনজীবী গোরাচাঁদ চক্রবর্তীকে। ওই নোটিসে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন অনুযায়ী আগামী ১৯ এপ্রিল কঠোর সিদ্ধান্ত (অর্থাৎ উচ্ছেদ) নিতে চলেছেন কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ গত মাসের ২৯ তারিখ অমর্ত্যকে শুনানির জন্য ডেকেছিলেন। কিন্তু তিনি উকিল মারফত সময় চেয়েছিলেন। আইন অনুযায়ী ৭ দিনের বেশি সময় দেওয়া যায় না। যতটা সম্ভব সময় দেওয়া হয়েছে। তাই আগামী ১৯ এপ্রিল ‘কড়া সিদ্ধান্ত’ নেওয়া হবে বলে ঠিক করা হয়েছে। এমনটাই লেখা হয়েছে ওই নোটিসে। পাশাপাশি বলা হয়েছে, আগামী ১৯ তারিখ অমর্ত্যের আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারবেন বা ইমেল মারফত কোনও কিছু জানানোর থাকলে তিনি তা জানাতে পারেন।

অমর্ত্যকে চিঠি দিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের দখলদার উচ্ছেদ আইন কেন প্রয়োগ করা হবে না, তার জবাব ২৪ মার্চ বা তার আগে জানতে হবে। পাশাপাশি, ২৯ মার্চ বিকেলে অমর্ত্য সেনকে সশরীরে অথবা তাঁর কোনও প্রতিনিধিকে বিশ্বভারতীর যুগ্ম কর্মসচিব তথা এস্টেট অফিসারের কাছে শুনানির জন্য হাজিরা দিতেও বলা হয়। অমর্ত্য বিদেশে থাকায় এবং জমি সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি না-থাকায় ওই তারিখে শুনানিতে থাকা সম্ভব হবে না বলে বিশ্বভারতীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। চিঠি পাঠিয়ে ৪ মাস সময়ও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বিশ্বভারতী ৪ মাসের বদলে মাত্র ১০ দিন সময় দিয়েছিল হাজিরার জন্য।

Advertisement

নোবেলজয়ীর অবর্তমানে ‘বিতর্কিত’ জমি সংলগ্ন এলাকায় যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয়, সে জন্য ১৪৫ ধারা জারি করতে প্রশাসনের কাছে বুধবার আবেদন জানিয়েছিলেন গোরাচাঁদ। শুনানিতে হাজির থাকতে অমর্ত্যকে বিশ্বভারতী যাতে অতিরিক্ত সময়ে দেয় সেই অনুরোধ জানিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি লিখেছিলেন গোরাচাঁদ। তার পরেই বৃহস্পতিবারের এই নোটিস।

দীর্ঘ দিন ধরে চলা জমি বিতর্কে বিশ্বভারতী বার বার দাবি করেছে, অমর্ত্য সেনের লিজ নেওয়া জমির পরিমাণ ১.৩৮ একর নয়, আসলে ১.২৫ একর। অর্থাৎ তিনি ১৩ শতক জমি জবরদখল করে রেখেছেন, যা বিশ্বভারতীর সম্পত্তি। অমর্ত্য শান্তিনিকেতনে আসার পর থেকে এই মর্মে আইনি নোটিস পাঠিয়ে জমি হস্তান্তরের দাবি করেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই জমি তিনি নিজের নামে রেকর্ড করিয়ে নিয়েছেন। এই মুহূর্তে অমর্ত্য বিদেশে থাকলেও জমি পুনরুদ্ধারে মরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement