দলীয় প্রতীক এঁকে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। তবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা না হওয়ায় ওই অংশ ফাঁকাই থাকছে। —নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের এখনও দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। সবে সরকারি স্তরে নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কমবেশি সব দলই প্রার্থী নির্বাচনের কাজে এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এই অবস্থায় বাঁকুড়া জেলায় একই দিনে শুরু হয়ে গেল দেওয়াল লিখন। শনিবারের বারবেলায় দেখা গেল তৃণমূল এবং বিজেপি কোমর বেঁধে লেগে পড়েছে দেওয়াল লিখনের কাজে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি থেকে আবাস যোজনায় স্বজনপোষণের অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। একে ইস্যু করেই বাঁকুড়া জেলায় বিরোধীরা সুর চড়াচ্ছে। দেওয়াল লিখনে দেখা গেল তারই প্রতিফলন।
অন্য দিকে, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা এবং রাজ্যের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা দেওয়াকে হাতিয়ার করে প্রচারে পিছিয়ে নেই তৃণমূল। শুধু দেওয়াল লিখনেই থেমে নেই তৃণমূল এবং বিজেপি। বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার চালালেন শাসক ও বিরোধী দলের নেতা ও কর্মীরা। তবে এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় কোনও মুখকে সামনে না রেখেই প্রচার চলছে। যেমন শনিবার দুপুরে দেখা গেল বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের কালাপাথর এলাকায় তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা যুব সভাপতি সন্দীপ বাউরির উদ্যোগে দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। কয়েকটি বাড়ি ঘুরে প্রচারও করে ফেললেন তাঁরা।
প্রচারে পিছিয়ে নেই বিজেপিও। শনিবার দিনভর দেওয়াল লিখনের সঙ্গে চলল বাড়ি বাড়ি প্রচার। —নিজস্ব চিত্র।
প্রচার শেষে সন্দীপ বলেন, ‘‘শুধু নির্বাচনের সময় নয়, আমরা সারা বছর প্রতিটি দিনই মানুষের সুখে-দুঃখে তাদের সঙ্গে থাকি। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে প্রচার চালাই। আর সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন থাকায় প্রচারে শুধু ভোটের বিষয়টি যোগ করেছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমাদের দলে প্রার্থী কে হবেন তা সময় এলেই ঘোষণা হবে। কিন্তু তার আগেই এলাকায় প্রচারের কাজটা কিছুটা এগিয়ে রাখছি।’’
বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের আঁধারথোল এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়তে দেখা গেল বিজেপিকেও। তাদের রাজ্য কমিটির সদস্য জয়ন্ত মণ্ডলের নেতৃত্বে দেওয়াল লিখন চলে। জয়ন্তের কথায়, ‘‘শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, নিয়োগ (চাকরি) থেকে পরিষেবা— সব ক্ষেত্রে এ রাজ্যে দুর্নীতি আর স্বজনপোষণ চলছে। এই বিষয়গুলিকে সামনে রেখেই আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করলাম। দিন যত গড়াবে প্রচারের মাত্রাও তত বাড়বে।’’