শাশুড়িকে মেরে পলাতক জামাই। প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে মারধর করতে করতে ছুরির আঘাতে তাঁকে মেরে ফেলতে গিয়েছিলেন স্বামী। মেয়েকে বাঁচাতে পড়িমরি করে ছুটে আসেন মা। বাধা পেয়ে রাগের চোটে শাশুড়ির গলার নলি কেটে ফেলার অভিযোগ জামাইয়ের বিরুদ্ধে। প্রতিবেশীরা জড়ো হওয়ার আগেই পালান তিনি। মঙ্গলবার রাতে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূমের নানুরের মড্ডা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র কয়েক মাস আগে মড্ডা গ্রামের মফিজা বিবির মেয়ের সঙ্গে বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের কাসেম শেখের বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না। তাঁর বাপের বাড়িতেই ছিলেন স্ত্রী। হঠাৎই মঙ্গলবার রাতে জামাই কাসেম শ্বশুরবাড়িতে উপস্থিত হন। স্ত্রীকে খুন করার উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি শ্বশুরবাড়ি আসেন বলে অভিযোগ। বাড়িতে ঢুকেই স্ত্রীর দিকে ছুরি নিয়ে তেড়ে যান তিনি। প্রাণে বাঁচতে স্ত্রী চিৎকার শুরু করলে ছুটে আসেন তাঁর শাশুড়ি। তখন জামাই শাশুড়িকে ছুরি দিয়ে কোপাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। কোপাতে কোপাতে শাশুড়ির গলার নলি কেটে দেন তিনি। আহত হন স্ত্রীও।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নানুর থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায় তারা। পাশাপাশি, অকুস্থল থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত কাসেম পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।