বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ফাইল চিত্র।
নিয়ম না মেনে কাজ করছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। এই অভিযোগ তুলে উপাচার্যের পদ থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি তুলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন। তাদের অভিযোগ, বেআইনি ভাবে অধ্যাপক এবং পড়ুয়াদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে। যার জেরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়েছে বিশ্বভারতীর ‘ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশন’। চিঠিতে অভিযোগ, উপাচার্যের ‘নিষ্ঠুর’ মনোভাবের জন্যই বিশ্বভারতীর পড়াশোনার পরিবেশ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। অধ্যাপক ও অন্যান্য কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত, পদ থেকে অবনমন, বেতন বন্ধ বাধ্যতামূলক অবসর, অবসরে সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। দাবি, এই উপাচার্যের আমলে অন্তত ১৪০টি মামলা হয়েছে। আদালতে সেই মামলাগুলিতে কঠোর ভাবে সমালোচিতও হচ্ছে বিশ্বভারতী।
অধ্যাপক সংগঠনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানান, গত ২৮ মার্চ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শান্তিনিকেতন সফরে আসেন রাষ্ট্রপতি। তার আগের দিনই বিশ্বভারতীর পরিদর্শক রাষ্ট্রপতিকে ইমেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতির কথা জানানো হয়। তার জেরেই ৭ জন অধ্যাপককে শোকজ় করেন কর্তৃপক্ষ। সুদীপ্ত বলেন, ‘‘আমরা উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণ চাই। তাই আবার চিঠি দেওয়া হল রাষ্ট্রপতিকে।’’