বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (মাঝে) এবং নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার (ডান দিকে) সঙ্গে দেখা করলেন নভজ্যোত সিংহ সিধু (বাঁ দিকে)। ছবি: পিটিআই।
জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন গত শনিবার। বৃহস্পতিবার দিল্লি গিয়ে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার সঙ্গে দেখা করলেন নভজ্যোত সিংহ সিধু। জানালেন, রাহুল তাঁর ‘মেন্টর’ আর প্রিয়ঙ্কাকে ‘ফ্রেন্ড, ফিলোজ়ফার, গাইড’ বলে সম্বোধন করলেন। কংগ্রেস নেতা সিধু এও জানালেন, পঞ্জাব এবং তার নেতাদের প্রতি দায়বদ্ধতার হেরফের হবে না।
১০ মাস জেলে থাকার পর গত শনিবার পটিয়ালা জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন কংগ্রেস নেতা সিধু। ১৯৮৮ সালে ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে আঘাত’ করার একটি মামলায় জেল খাটছিলেন তিনি। কয়েদবাসের মেয়াদ ছিল এক বছর। তবে জেলে ভাল আচরণ করার জন্য দশ মাসের মাথায় মুক্তি পান প্রাক্তন ক্রিকেটার। বৃহস্পতিবার রাহুলের সঙ্গে দেখা করার পর সিধু সেই ছবি দিয়ে টুইটারে লিখলেন, ‘‘আমার মেন্টর রাহুলজি এবং বন্ধু, দার্শনিক, পথপ্রদর্শক প্রিয়ঙ্কাজির সঙ্গে দেখা করলাম।’’ তার পরেই তিনি লিখলেন, ‘‘আমায় জেলে পাঠাতে পারেন, ভয় দেখাতে পারেন, আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিতে পারেন, কিন্তু পঞ্জাব এবং আমার নেতাদের প্রতি দায়বদ্ধতা এক ইঞ্চিও হেরফের হবে না।’’
জেল থেকে মুক্তির পরে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মানকে একহাত নিয়েছিলেন সিধু। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি সিধু মুসেওয়ালার নিরাপত্তায় কাটছাঁট করার জন্যও আপ সরকারকে কটাক্ষ করেন। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় এসে মান সরকার মুসেওয়ালার নিরাপত্তা কমিয়ে দেন। তার পরের দিনই দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন গায়ক। সেই নিয়ে আপ সরকারকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সিধু।
মানসা জেলায় গিয়ে মুসেওয়ালার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করে আপ সরকারের দিকে আঙুল তোলেন সিধু। বলেন, ‘‘ওদের কি সুরক্ষা দেওয়ার কথা, না কি অপরাধ করার কথা?’’ এর পরেই সিধু প্রশ্ন করেন, ‘‘মুসেওয়ালা এক জন বিশ্বমানের তারকা। তাঁর নিরাপত্তা কেন কমানো হবে? নিরাপত্তা কমিয়ে তা ঘোষণাই বা কেন করা হবে? এটা তো কোনও নিয়ম নয়।’’ তিনি দাবি করেছেন, মুসেওয়ালার সঙ্গে যা হয়েছে, এখন তাঁর সঙ্গেও হচ্ছে। তিনি মৃত্যুকে ভয় পান না বলেও জানিয়েছেন।