—প্রতীকী চিত্র।
খাবারে বিষক্রিয়ায় কারণে মৃত্যু এক শিশুর। গুরুতর অসুস্থ ওই পরিবারের আরও তিন সদস্য। বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার ফুটিডাঙা গ্রামের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম বিধান সোরেন (১২)।
বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার ফুটিডাঙা গ্রামের বাসিন্দা বাদল সোরেন এবং চম্পা সোরেন। ওই দম্পতির দুই সন্তান। এক জনের নাম বিধান এবং অন্য জনের নাম বীরেন্দ্রনাথ সোরেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরে খাওয়া-দাওয়ার পর কিছুটা ভাত বেঁচে গিয়েছিল। রাতে সেই ভাত খান পরিবারের চার সদস্য। এর পর বুধবার ভোর থেকে চার জনেরই শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। তাঁদের ভর্তি করানো হয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে।
কিন্তু শুক্রবার চার জনেরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বিধানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বীরেন্দ্রনাথ এবং চম্পাকে সিসিইউ-তে রেখে চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকেরা। বাদলের শারীরিক পরিস্থিতি অনেকটা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের জেনারেল বেডে চিকিৎসাধীন বাদল বলেন, ‘‘মঙ্গলবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর সবাই সুস্থই ছিলাম। বুধবার সকালে প্রথম বমি আর পায়খানা শুরু হয় স্ত্রীর। এর পর আমি এবং আমার দুই ছেলেও অসুস্থ হয়ে পড়ি। গ্রামের মানুষজন আমাদের গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে বিষ্ণুপুর নিয়ে আসার পথে আমার ছোট ছেলে মারা যায়। আমার স্ত্রী এবং বড় ছেলের শরীরের অবস্থাও ভাল নয়। কী ভাবে এমনটা হল বুঝতে পারছি না।’’
বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার শুভঙ্কর কয়াল বলেন, ‘‘হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে বিধান সোরেন নামে এক কিশোরের। ময়নাতদন্ত না হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা কঠিন। অন্য তিন জনের মধ্যে চম্পা ও বীরেন্দ্রনাথের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে বাদলের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। খাবারে বিষক্রিয়ার কারণে এমনটা ঘটে থাকতে পারে।’’