রাতারাতি পুরুলিয়ায় চলে আসছে হাতিরা।
ঝাড়খণ্ডে ফিরেই রাতারাতি আবার পুরুলিয়ায় চলে আসছে হাতিরা। ঝালদার ফুলটুংরি পাহাড় লাগোয়া হেঁসলার জঙ্গলে এখন হাতির সংখ্যা ২২টি। তাণ্ডব চলছে। অন্য দিকে, রবিবার রাতে ঝাড়খণ্ডে ফিরে সোমবার ভোরে আবার সাতটি হাতি চলে এসেছে বাঘমুণ্ডিতে।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে এলাকা ছেড়েছিল ঝাড়খণ্ড থেকে ঝালদায় আসা সাতটি হাতি। রবিবার রাতে ফিরে এসেছে সেগুলি।
মাঝের সময়ে ঝালদায় পড়ে থাকা তিনটি হাতির সঙ্গে বাঘমুণ্ডির কালিমাটি থেকে এসে ভেড়ে ১২টি হাতি। নতুন-পুরনো মিলিয়ে মোট ২২টি হাতি ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সোমবার ভোরে বনডি, ঘসড়া, রানিডি, জুরাডি-সহ কয়েকটি গ্রামে হানা দিয়ে প্রায় ৫ হেক্টর জমির আমন ধান তছনছ করেছে। বন দফতর সূত্রের খবর, তার পরে আবার এক সঙ্গে মিলে সব ক’টি হাতি ফুলটুংরি পাহাড় লাগোয়া হেঁসলার জঙ্গলে ঘাঁটি গাড়ে।
অন্য দিকে, রবিবার ভোরে বাঘমুণ্ডির রাঙামাটি গ্রামের কাছে যে সাতটি হাতি ঢুকেছিল, রাতে সেগুলিকে তাড়িয়ে ঝাড়খণ্ডে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সোমবার ভোরে আবার সেগুলি বাঘমুণ্ডি এলাকাতেই ফেরত চলে এসেছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে দলটিকে ঝাড়খণ্ডের পথ ধরানোর সময়ে এক দাঁতালের তাড়ায় পড়ে গিয়ে দুই বনকর্মী জখম হয়েছেন। বাঘমুণ্ডির বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের নাম দ্বৈপায়ন নন্দী ও হরিদাস মণ্ডল। তাঁরা কালিমাটি বিটের অধীনে বনরক্ষীর কাজ করেন। দু’জনের হাত, পা এবং কোমরে চোট রয়েছে। বাঘমুণ্ডি ব্লক হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখান থেকে অন্যত্র নেওয়া হয়েছে।
জখম বনকর্মীদের এক জন সোমবার ফোনে বলেন, ‘‘হাতির দল সামনে ছিল। আমরা পিছন থেকে তাড়া করছিলাম। বেশ কিছুটা রাস্তা পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। হঠাৎ সীমানা বরাবর গিয়ে একটি দাঁতাল আমাদের দিকে তেড়ে আসে। প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিই। কিছু দূর গিয়ে পড়ে যাই।’’ আসা-যাওয়ার রাস্তায় হাতির ওই দলটি প্রায় দেড় হেক্টর জমির ফসল নষ্ট করে দিয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। দলটি এখন বাঘমুণ্ডির পেড়েতোরাং-এর জঙ্গলে রয়েছে।
ডিএফও (পুরুলিয়া) রামপ্রসাদ বাদানা বলেন, ‘‘দুই কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’