বাড়ি থেকে উদ্ধার চিকিৎসকের দেহ। প্রতীকী চিত্র।
নিজের বাড়ি থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেল এক চিকিৎসকের রক্তাক্ত দেহ। সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের নলহাটি পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেল গেটের কাছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই চিকিৎসককে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
নলহাটি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের রেলগেটের কাছে বাড়ি চিকিৎসক মদনলাল চৌধুরীর। সোমবার দুপুরে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় বাড়ির দোতলার ঘর থেকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মদনলালের হাত-পা বাঁধা ছিল কাপড় দিয়ে। আরও জানা গিয়েছে, ঘরের মেঝেয় তাঁর দেহ পড়েছিল রক্তাক্ত অবস্থায়। রোহিত প্রসাদ নামে মদনলালের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘আমি বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ ওঁর বাড়িতে যাই। গিয়ে দেখি উনি নীচে ওই অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর হাত-পা বাঁধা ছিল। ঘরের দরজাও ভেজানো ছিল। তার পর আমরা পুলিশ ডাকি। এ ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না। কারণ আমি দৃশ্যটি আমি এক ঝলক দেখেই চলে এসেছি।’’
নলহাটি পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরামুল হক বলেন, ‘‘ডাক্তারবাবুকে আমি দীর্ঘ দিন ধরে চিনি। উনি দীর্ঘ দিন এখানে ডাক্তারি করতেন। এটা খুবই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। ওঁকে খুন করা হয়েছে। তবে খুন হওয়ার কী কারণ তা জানি না।’’ পুলিশ চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
এ নিয়ে বীরভূমের পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা তদন্ত শুরু করেছি। খুন সেটা প্রাথমিক ভাবে স্পষ্ট। আমরা ফরেন্সিক দলকেও খবর দিয়েছি। তারা আসবে। ঘটনাস্থল আপাতত বন্ধ করে রাখা হয়েছে। আমাদের কাছে খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।’’