রামপুরহাট আদালতে সিআইডি। — নিজস্ব চিত্র।
সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে যে শৌচালয় রয়েছে সেখানে কি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়া সম্ভব? বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে গিয়ে তা খতিয়ে দেখল সিআইডির ফরেন্সিক দল। ওই শৌচালয় থেকেই উদ্ধার হয়েছিল বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ। পাশাপাশি, জেলবন্দি জাহাঙ্গির শেখকে ওই ঘটনায় জেরা করার জন্য আদালতে আবেদনও করে সিআইডি। তাতে আদালত অনুমতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ফরেন্সিক বিভাগের একটি দল সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে পৌঁছয়। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে ওই দলের সদস্যেরা শিবিরের বিভিন্ন জায়গা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেন। তাঁরা যান শৌচালয়েও, যেখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল লালনের ঝুলন্ত দেহ। তাঁরা শৌচালয়ের মাপজোক করেন। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, লালনের উচ্চতা ছিল সাড়ে ৫ ফুট। তাঁর দেহ ঝুলতে দেখা গিয়েছিল শৌচালয়ের শাওয়ারের নল থেকে। মেঝে থেকে ওই নলের উচ্চতা মেপে দেখেন ফরেন্সিক দলের সদস্যেরা। পাশাপাশি, লালনের সম ওজনের বস্তু ঝুলিয়েও পরীক্ষা করা হয় সেই ভার সহ্য করার মতো ক্ষমতা ওই নলের আছে কি না। বুধবারও সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে গিয়েছিলেন সিআইডি কর্তারা।
বগটুইকাণ্ডে ধৃত ভাদু শেখের ভাই জাহাঙ্গির শেখ বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে জেরা করার জন্য বৃহস্পতিবার রামপুরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন জানিয়েছে সিআইডি। সিআইডির সেই আবেদন মঞ্জুরও করেছে আদালত। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে, জেরার সম্পূর্ণ ভিডিয়োগ্রাফি কলকাতা হাই কোর্টে জমা করতে হবে। এ কথা জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী সুরজিৎ সিন্হা।