CBI

ফের বোলপুরে সিবিআই! একসঙ্গে কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী, রেজিস্ট্রি অফিস এবং ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের তলব

গরু পাচার মামলার তদন্তে আবার বীরভূম জেলায় এল সিবিআই। সূত্রের খবর, একসঙ্গে অনেককে ডেকে পাঠানো হয়েছে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। অনুব্রতের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য নিতে চান আধিকারিকরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৫৪
Share:

অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীকে আবার তলব করেছে সিবিআই। ফাইল চিত্র।

গরু পাচার মামলার তদন্তে আবার বোলপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)। বুধবার সকালে বোলপুরে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে এসে পৌঁছন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেখানে ডাকা হয় তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে। এ ছাড়াও একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের ম্যানেজার এবং বোলপুর রেজিস্ট্রি অফিসের আধিকারিকদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, এঁদের সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে অনুব্রতের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য নিতে পারেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

বুধবার মোট চার জন সিবিআই আধিকারিক বীরভূমে আসেন। বোলপুর এবং শান্তিনিকেতনের রতনকুঠিতে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে ওই ব্যক্তিদের আসতে বলা হয়েছে। বস্তুত, গরু পাচার মামলায় অনুব্রতের গ্রেফতারির পর এঁদের সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। কাউকে কাউকে একাধিক বার তলব করা হয়েছে। কিছু দিন আগেই অনুব্রতের ব্যক্তিগত হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে নিজাম প্যালেসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

পরে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পীঠের পলিটেকনিক কলেজেও যান সিবিআই আধিকারিকরা। মলয়ের একটি মেডিক্যাল কলেজও আছে। অনুব্রত সেখানেও বিনিয়োগ করেছেন বলে মনে করছে সিবিআই।

Advertisement

অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যার নামে একাধিক কোম্পানি রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছে। সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে যে, বেশ কিছু কোম্পানির ডিরেক্টর হিসাবেও রয়েছে অনুব্রত-কন্যার নাম। অনুব্রতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিশেষ লেনদেন না হলেও সেই সব কোম্পানিতে প্রচুর অর্থের লেনদেন হয়েছে। অন্য দিকে, তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ রাজীবের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে কথাবার্তা বলে সিবিআই। এই রাজীব নাকি অনুব্রতের একাধিক চালকলের দেখাশোনা করতেন। তাঁকে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। সে সময় একটি হাসপাতালে আর্থিক লেনদেনের বিষয় সামনে আসে।

দীর্ঘ রোগভোগের পর ২০২০ সালে মৃত্যু হয় অনুব্রতের স্ত্রী ছবি মণ্ডলের। ক্যানসার আক্রান্ত স্ত্রীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করান অনুব্রত। তার মধ্যে ছিল নিউটাউনের একটি ক্যানসার হাসপাতাল। সিবিআই জানতে পেরেছে, অনুব্রতের স্ত্রী সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাকালীন মোট ৬৬ লক্ষ টাকা ওই হাসপাতালকে দিয়েছিলেন রাজীব। সেই রসিদ হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তা হলে কি অনুব্রতের স্ত্রীর হাসপাতালের বিল মিটিয়েছিলেন ব্যবসায়ী রাজীব? যদি তা না হয়, তবে অন্য আর কোন কারণে এত টাকা সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন রাজীব? এমনই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। পাশাপাশি, স্থাবর সম্পত্তি সংক্রান্ত হিসাব নিতে রেজিস্ট্রি অফিসের আধিকারিকদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement