বাঁকুড়ার নানা ওষুধ দোকানে ড্রাগ কন্ট্রোলের অভিযান। নিজস্ব চিত্র।
সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলাতেও দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। বাড়ছে জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গজনিত অসুখও। স্বাভাবিক ভাবেই জেলা জুড়ে এখন বিপুল চাহিদা প্যারাসিটামল, ভিটামিন সি-সহ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের। এই পরিস্থিতিতে খুচরো ওষুধের বাজারে প্রকৃত অবস্থা জানতে এ বার রাস্তায় নামল ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ। বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্তে খুচরো ওষুধের দোকানে দোকানে ঘুরে ওই ওষুধগুলির মজুত তালিকা ও সরবরাহের বিশদ খতিয়ে দেখলেন ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া শহরের নতুনচটি এলাকার বিভিন্ন খুচরো ওষুধের দোকানে হানা দিয়ে দোকানে মজুত থাকা করোনা-বিষয়ক ওষুধের চাহিদা ও জোগান নিয়ে খোঁজখবর নেন ড্রাগ কন্ট্রোলের আধিকারিকরা। দফতরের ইনস্পেক্টর আকাশ মণ্ডল বলেন, ‘‘প্যারাসিটামল-সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রতিটি দোকানেই পর্যাপ্ত পরিমাণ মজুত রয়েছে। তবুও আমরা প্রতিটি খুচরো ওষুধ ব্যবসায়ীকে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রি করতে নিষেধ করেছি। পাশাপাশি, এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি ওষুধ ব্যবসায়ীকে রোগী পিছু সীমিত সংখ্যক ওষুধ বিক্রির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এই ভাবে চললে জেলায় কোনও ভাবেই ওষুধের সঙ্কট তৈরী হবে না।’’
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় অক্সিজেন ও বিভিন্ন ওষুধের কালোবাজারি রুখতে সক্রিয় ভূমিকা দেখা গিয়েছিল বাঁকুড়া জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগকে। লাগাতার অভিযানে সে সময় কিছুটা হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ওষুধের আকাল যাতে না হয় তারজন্য ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে ‘বাঁকুড়া জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’। সংগঠনের জেলা সভাপতি দিলীপ আগরওয়াল বলেন, ‘‘এই সময় আতঙ্কিত হয়ে কিছু মানুষ অযথা বাড়িতে ওষুধ কিনে রাখছেন। এর ফলে বাজারে প্যারাসিটামল, এলার্জি নাশক, ভিটামিন সি এবং কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা জেলার প্রতিটি খুচরা ওষুধ বিক্রেতাকে প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ দেওয়ার কথা বলেছি। পাশাপাশি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ও সংস্থাগুলির স্টকিস্টদের ওষুধ সরবরাহের পরিমাণ বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছি।’’