ডোকলামে ভুটানের ভূখণ্ড দখল করে গড়ে ওঠা চিনা গ্রামের উপগ্রহচিত্র। ছবি: ম্যাক্সার।
অরুণাচল প্রদেশের উত্তর সুবনসিরির পর এ বার ভুটানের ডোকলাম। ফের চিনা সেনার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জমি জবরদখল করে গ্রাম বানানোর অভিযোগ উঠল। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত একটি উপগ্রহচিত্রে তেমনই দাবি করা হয়েছে। যদিও ভুটান বা ভারতের তরফে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ডোকলাম এলাকাতেই ২০১৭ সালে ভুটানের জমিতে অনুপ্রবেশ করেছিল চিনের পিপপস লিবারেশন আর্মি। ওই ঘটনার জেরে সে সময় ভারত এবং চিনের সেনার সংঘর্ষ হয়েছিল। সেই সংঘর্ষস্থল থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে লালফৌজের রাস্তা এবং দু’টি গ্রাম বানানোর ছবি ধরা পড়েছে উপগ্রহচিত্রে। চিনের এই জবরদখল নয়াদিল্লির পক্ষে উদ্বেগজনক বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞেরা।
গত বছর অরুণাচলের উত্তর সুবনসিরি জেলায় ভারতের জমি জবরদখল করে নির্মিত চিনা গ্রামের উপগ্রহছবি সামনে এসেছিল। আমেরিকার একটি সামরিক পর্যবেক্ষক সংস্থার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, তাসরি চু নদীর তীরে ১০১টি ঘর তৈরি করেছে চিনা সেনা। সে সময় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী অভিযোগের সত্যতাও স্বীকার করেন। এ বারও উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করেছে একটি আন্তর্জাতিক সামরিক পর্যবেক্ষক সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ২০২০ নভেম্বরে ডোকলামের অদূরে ভুটান সীমান্তের দু’কিলোমিটারেরও বেশি ভিতরে এসে ‘পাংদা’ নামে একটি গ্রাম তৈরির অভিযোগ উঠেছিল চিনের বিরুদ্ধে। যদিও সে সময় চিনা বিদেশ দফতর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। সম্প্রতি প্রকাশিত উপগ্রহচিত্রও ২০২০-র শেষপর্বে তোলা বলে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।