Adhir Chawdhury

Jhalda Congress Councillor Murder: ঝালদায় কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে সরাসরি জড়িত পুলিশ, বিস্ফোরক দাবি অধীরের

ঝালদা পুরসভার নবনির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় সরাসরি পুলিশের দিকে আঙুল তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝালদা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২২ ১৮:৩৪
Share:

কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে শাসক দল ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন অধীর। ফাইল চিত্র।

পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনায় সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সোমবার দুপুরে ঝালদার আনন্দবাজার এলাকায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর বহরমপুরের সাংসদের মন্তব্য, ‘‘এই খুনের ঘটনায় সরাসরি আইসি জড়িত। তপন কান্দু খুনে যারা দুষ্কৃতী, তাদের সরাসরি আইসি মদত দিয়েছেন।’’ এমনকি অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে বলে বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা। তিনি আরও বলেন, ‘‘মৃতের পরিবারকে কখনও ভয় দেখানো হয়েছে। আবার কখনও প্রলোভন। আমরা আদালতে যাব।’’

Advertisement

রবিবার ভরসন্ধ্যায় সান্ধ্যভ্রমণে বেরিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর। ঘটনায় শাসকদলের দিকে আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। অধীর জানিয়ে দেন সিবিআই তদন্তেও তাঁদের আস্থা নেই। আদালতের তত্ত্বাবধানে তপনের খুনীদের খুঁজে বের করার আবেদন করবেন তাঁরা।

কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনে আইসি-র জড়িত থাকার দাবি করে অধীরের মন্তব্য, ‘‘আমরা সব বুঝতে পারছি। আজ কেন পুলিশ সুপারকে নিরুপায় হয়ে বলতে হচ্ছে খতিয়ে দেখব। তার মানে কিছু তো সন্দেহ হয়েছে। ধোঁয়া দেখে বুঝতে হবে তার আড়ালে আগুন আছে।’’

Advertisement

কিন্তু এই খুনের কারণ কী হতে পারে? অধীরের সাফ জবাব, ‘‘ঝালদা পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা এবং বোর্ড দখল করতেই এই খুন করা হয়েছে। ঝালদা পুরসভায় আমরা পাঁচটি আসন পেয়েছিলাম। তৃণমূল পেয়েছিল পাঁচটি আসন। দুটি আসনে জিতেছিল নির্দল। নির্দলরা যখন আমাদের দিকে যেতে শুরু করেছে তখন আমাদের সংখ্যা কমানোর জন্যই তপন কান্দুকে খুন করা হয়েছে। ‘মার্ডার ফর মেজরিটি’।’’

অন্য দিকে, অধীরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুরুলিয়া জেলার তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন বেলথুরিয়া বলেন, ‘‘রাজনীতি করার জন্য এমন ভিত্তিহীন কথা বলা হচ্ছে। আমরা ওই পুরসভায় পাঁচটি আসন জিতেছিলাম। একজন জয়ী নির্দল আমাদের সমর্থন জানিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসাবে বোর্ড গঠনের জন্য আমরা এগিয়ে রয়েছি। এই জেলায় তিনটি পুরসভাতেই অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন হয়েছে। তারপরও এই খুনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরাও চাই, এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেওয়া হোক।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement