গঙ্গাসাগরে পুণ্যার্থীদের ভিড়। ছবি: পিটিআই।
গঙ্গাসাগর মেলার আবর্জনা পুনর্ব্যবহার করে তৈরি হবে রাস্তা, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র! এমনই অভিনব উদ্যোগ নিল একটি অ-সরকারি সংস্থা। এ নিয়ে একটি কর্মশালাও আয়োজন করা হয়েছে। মেলাশেষের পর ফেলে দেওয়া কাচের বোতল, পুরনো কাপড় এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ সৈকত থেকে সংগ্রহ করে এমন নানা কাজে লাগানো হবে।
গত ৮ জানুয়ারি থেকে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির আশ্রমপ্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৫৫ লক্ষেরও বেশি পুণ্যার্থী গঙ্গাসাগরে পুণ্যস্নান সেরেছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। মেলা উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছেন সমুদ্রসৈকতে। আর এত মানুষের সমাগমে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আবর্জনার পরিমাণ। সে কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ উদ্যোগ। কী ভাবে আর্বজনাকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তুলে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বানানোর কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে একটি কর্মশালারও আয়োজন করা হয়েছে। মেলাশেষের পরে পুণ্যার্থীদের ফেলে দেওয়া বর্জ্যপদার্থ সৈকত থেকে সংগ্রহ করে তা গঙ্গাসাগরের বিভিন্ন রাস্তা নির্মাণের কাজে লাগানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
মকর সংক্রান্তির পুণ্যস্নান উপলক্ষে রবিবার থেকেই বাংলা তথা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গঙ্গাসাগর মেলায় ভিড় জমিয়েছেন অসংখ্য পুণ্যার্থী। মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পুণ্যস্নান। চলবে বুধবার সকাল পর্যন্ত। অনেকে ইতিমধ্যেই স্নান সেরে ফেলেছেন। পুণ্যার্জনের উদ্দেশ্যে বুধবারের আগে আরও কয়েক লক্ষাধিক মানুষ গঙ্গাসাগরে আসতে পারেন বলে আশাবাদী প্রশাসন।