সিবিআই-র অভিযোগ, চিত্রা শ্রীকৃষ্ণ তদন্তে সহযোগিতা করছেন না। ফাইল চিত্র।
ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) দুর্নীতি মামলায় ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের(এনএসই) প্রাক্তন কর্ত্রী চিত্রা রামকৃষ্ণকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের অভিযোগ, তিনি তদন্তে সহায়তা করছেন না। প্রাক্তন এনএসই প্রধান তদন্তকারীদের প্রশ্ন এড়াচ্ছেন। তাই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় তারা। চিত্রার আইনজীবী আদালতে আবেদন করেন, তাঁর মক্কেলকে বাড়ির তৈরি খাবার পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হোক। যার প্রেক্ষিতে কার্যত কটাক্ষ করলেন বিচারক। তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি অনেকবার জেলের খাবার খেয়ে দেখেছি। জেলের খাবারও বেশ ভালই।’’ এর পর চিত্রাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
তবে শুধু বাড়িতে তৈরি খাবার নয়, জেলের মধ্যে চিত্রাকে একটা প্রার্থনার বই এবং একটা মাস্ক দেওয়ার অনুমতি চান তাঁর আইনজীবী। যা নিয়ে আদালতের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ভিআইপি জেলবন্দিরা কত কিছুই চান। কিন্তু অভিযুক্তা ভিআইপি নন। তা ছাড়া, এ সব অনুমতি দিতে গেলে তো জেলের সব নিয়মই পাল্টাতে হয়।’’
প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধানের পদে থাকাকালীন মোটা টাকার আর্থিক অনিয়ম, ইচ্ছাখুশি মতো কর্মীদের পদোন্নতি ইত্যাদির মতো অভিযোগ উঠেছে চিত্রার বিরুদ্ধে। চিত্রা জানিয়েছিলেন, তিনি এ সব করতেন হিমালয়ের এক সাধুর নির্দেশে। তাঁর সঙ্গে আলোচনার পর সব সিদ্ধান্ত নিতেন। এমনকি স্টক এক্সচেঞ্জের গোপন তথ্যও তাঁর সঙ্গেও ভাগ করতেন। তদন্ত নেমে ওই ‘সাধু’র সঙ্গে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের তৎকালীন প্রধানের চিঠি সামনে আনেন তদন্তকারী অফিসাররা। সামনে আসে ‘হিমালয়ের সাধু’র আসল পরিচয়। জানা যায়, ওই সাধুও আসলে এনএসই-র প্রাক্তন পদস্থ অফিসার। নাম— আনন্দ সুব্রহ্মণ্যম। গত ৬ মার্চ তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই।
অন্য দিকে, ২০১৮ সালের দায়ের হওয়া একটি এফআইআর-এর প্রেক্ষিতে চিত্রাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, কয়েকজন ব্রোকারকে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে সুবিধা পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছেন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন প্রধান।