ঝালদার কাউন্সিলর খুনে কোন দিকে তদন্ত? ফাইল চিত্র।
সিবিআইয়ের হাতে কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের তদন্তভার তুলে দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। গত ৪ এপ্রিল আদালত জানায়, ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট পেশ করতে হবে। সেই সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও খুনের তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল না। যদিও সিবিআইয়ের উপরই ভরসা অটুট তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর।
১৩ মার্চ বিকেলে খুন হয়েছিলেন ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তপন। অভিযোগ, ঝালদার গোকুলনগরের কাছে রাস্তায় কয়েক জনের সঙ্গে হাঁটাহাঁটির সময় দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে। তপনের মাথায় ও পেটে গুলি লাগে। সেই খুনের তদন্তভার পুলিশ নিলেও তাতে আস্থা রাখেননি তপনের স্ত্রী। বরং, স্বামীর খুনের ঘটনায় শাসক দল এবং স্থানীয় থানার পুলিশের আঁতাতের অভিযোগ করেন তিনি। এর পর মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। খুনের ঘটনায় গত ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। নির্দেশে বলা হয়, ৪৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে সেই রিপোর্ট নিম্ন আদালতে জমা দিতে হবে।
কিন্তু এ পর্যন্ত সিবিআই তদন্ত শেষ না করায় স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে জল্পনা। এই বিষয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা বলেন, ‘‘সিবিআইকে সময় দেওয়া হয়েছে। তারা তদন্ত রিপোর্ট জমা করবেই। তবে এর আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা তো নিজেরা স্বীকার করেছে যে, এর পিছনে বড় মাথা রয়েছে। তাই, আমি চাই সিবিআই ওদের ভাল করে জেরা করে বড় মাথাদের ধরুক। কারণ এ পর্যন্ত বড় মাথা তেমন কাউকে ডাকা হয়নি। তবে আমি সিবিআইয়ের উপরে পূর্ণ আস্থা রাখছি। আমি বিশ্বাস করি, দেরিতে হলেও আমি ভাল ফল পাবই।’’
সূত্রের খবর, তপন-খুনে অভিযুক্ত ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীদের ধরার জন্য সিবিআইয়ের একটি প্রতিনিধি দল বোকারোতে শিবির করেছে।