হাই কোর্টে চলছে এসএসসি মামলার শুনানি। ফাইল চিত্র।
মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে আদালত। এমনকি, নিজেকে আর শিক্ষক হিসেবেই পরিচয় দিতে পারবেন না তিনি। এমনই নির্দেশ আদালতের। জানানো হল, তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতেই পারবেন না।
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট।
রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দুই কিস্তিতে বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিল হাই কোর্ট। প্রথম কিস্তির টাকা মেটাতে হবে আগামী ৭ জুনের মধ্যে। হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে জমা দিতে হবে।
সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে এসে পৌঁছলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। শুরু হতে চলেছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
শুক্রবার আবার পরেশ অধিকারীকে তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও তাঁকে হাজিরা দিতে হবে। সকাল ১১টায় নিজাম প্যালেসে যাওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টের মধ্যে সিবিআই অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর। কিন্তু তাঁর পক্ষে কোচবিহার থেকে কলকাতা এত তাড়াতাড়ি যাওয়া সম্ভব নয় বলে তখনই আদালতে জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রীর আইনজীবী।
নাম ববিতা সরকার। বাড়ি শিলিগুড়ির কোর্ট মোড়ে। এসএসসি-র যে মেধাতালিকার শীর্ষে মন্ত্রীকন্যার নাম উঠেছিল, বেশি নম্বর পেয়েও সেই তালিকা থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন ববিতা। মন্ত্রীকন্যার চেয়ে ১৬ নম্বর বেশি পেয়েছিলেন। তবু ববিতার নাম তালিকার ২১ নম্বরে ছিল। আর পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর নাম ছিল মেধা তালিকার শীর্ষে। এ নিয়ে মামলা করেন ববিতা।