—প্রতীকী চিত্র।
ঘরে পড়ে রয়েছে ছেলের রক্তাক্ত নিথর দেহ। মা-ও রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেয় পড়ে। কিন্তু তিনি তখনও বেঁচে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। শুক্রবার বীরভূমের মল্লারপুর থানায় এলাকার কানাচি গ্রামে আদিবাসী মহিলা ও তাঁর ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল।
পুলিশ সূত্রে খবর, সুমি হাঁসদা নামে ওই মহিলা ও তাঁর ছেলে দীপক হাঁসদাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে পড়ে থাকতে দেখেছিলেন গ্রামবাসীরা। এর পরেই তাঁরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুমির দুই সন্তান। এক ছেলে ও এক মেয়ে। স্বামী বিজয় হাঁসদা পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। মুম্বইয়ে কাজ করতে গিয়েছে। মেয়ে এলাকার একটি হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। শুক্রবার সকালে পড়শিরা দেখেন, ঘরের মেঝেয় মা ও ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে! গ্রামবাসীদের দাবি, দীপকের মৃত্যু হলেও সুমি তখনও জ্ঞান ছিল। তাঁকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশেও রওনা হন গ্রামের কয়েক জন। কিন্তু পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সুমিকে ভারী কোনও বস্তু দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়েছে। দীপককে খুন করা হয়েছে শ্বাসরোধ করে। কিন্তু কী কারণে তাঁদের খুন করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি বলে খবর পুলিশ সূত্রে।