—প্রতীকী চিত্র।
সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারকে দলীয় কার্যালয়ে তালাবন্দি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন বিজেপির দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই শালতোড়ায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ ও দলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের বিরুদ্ধে পথে নামলেন দলীয় কর্মীদের একাংশ। বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষকে কখনওই পাশে পাওয়া যায় না, এই অভিযোগ তুলে রাস্তার ধারে টায়ার জ্বালিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।
লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই বাঁকুড়া জেলায় প্রকাশ্যে চলে আসছে বিজেপির অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলীয় সূত্রে খবর, সুভাষ ও সুনীলের বিরুদ্ধে তীব্র হচ্ছে দলের নিচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ। লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্মীদের ওই অংশের ক্ষোভ সংগঠিত আকারে সামনে আসতে শুরু করেছে। সম্প্রতি বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে দলের কর্মীদের একাংশের হাতেই তালাবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল সুভাষকে। দলের কর্মীদের হাতে হেনস্থা হতে হয় সুনীলকেও। সেই ঘটনায় তুমুল অস্বস্তিতে পড়ে দলীয় নেতৃত্ব সাফাই দেন, বিক্ষোভকারীরা দলের কেউ নয়। তৃণমূলের মদতেই এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তা নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই শালতোড়ায় বিজেপি কর্মীদের একাংশ ফের সুভাষ ও সুনীলের বিরুদ্ধে পথে নামায় বিজেপির অন্দরে অস্বস্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
শালতোড়ার লেদ মোড়ে বিজেপি কর্মীদের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিজেপির কিসান মোর্চার বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি রাহুল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা শালতোড়া ব্লকে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করেছিলাম। সে জন্যে বহু জায়গায় আমাদের আক্রান্ত হতে হয়েছে। কিন্তু তার পরেও আমরা আমাদের সাংসদকে পাশে পাইনি। তিনি কোনও খোঁজ খবরও রাখেননি। তাই আমরা আজ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।’’ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বিজেপি নেতা অরুপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা আমাদের দলের সাংসদকে নির্বাচিত করেছি। কিন্তু তাঁকে আমরা দেখতে পাই না। দলের নিয়ম না মেনে ঘরে বসে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন করেন সাংসদ ও জেলা সভাপতি। আমরা এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছি। পরবর্তীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলব।’’
এ নিয়ে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল বলেন, ‘‘শালতোড়ায় যারা আন্দোলন করেছে, তারা দলের কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।’’