Elephants

হস্তিশাবকের মৃত্যু বাঁকুড়ার গ্রামে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বলে অনুমান বন দফতরের

বুধবার গোসাইপুর গ্রাম লাগোয়া ধানজমিতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এর পর খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বনকর্মী এবং আধিকারিকরা এলাকায় পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৮:১৬
Share:

মৃত সেই হস্তিশাবক। — নিজস্ব চিত্র।

হস্তিশাবকের মৃত্যু হল বাঁকুড়ায়। বুধবার বড়জোড়া রেঞ্জের গোসাইপুর গ্রাম সংলগ্ন ধানজমিতে হস্তিশাবকটির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। বন দফতর জানিয়েছে, মৃত শাবকটি স্ত্রী হাতি। সেটির বয়স আট মাস। প্রাথমিক তদন্তে বন দফতরের অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে শাবকটির।

Advertisement

সপ্তাহ দু'য়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে দফায় দফায় বাঁকুড়ায় আসতে শুরু করে হাতির দল। প্রায় ৪৫টি হাতি দ্বারকেশ্বর নদ পেরিয়ে এসে হাজির বড়জোড়া রেঞ্জের পাবয়ার জঙ্গলে। এই দলে বেশ কয়েকটি শাবকও রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ১৪টি হাতির একটি দল বড়জোড়া রেঞ্জের গোসাইপুর লাগোয়া এলাকায় খাবারের খোঁজে যায়। ওই দলেরই একটি শাবককে বুধবার গোসাইপুর গ্রাম লাগোয়া ধানজমিতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এর পর খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বনকর্মী এবং আধিকারিকরা এলাকায় পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধারের চেষ্টা চালান। কিন্তু মা হাতি শাবকটির মৃতদেহ আগলে রাখায় তা উদ্ধারে প্রাথমিক ভাবে বেগ পেতে হয় বনকর্মীদের। ঘন্টা দু’য়েকের চেষ্টায় মা হাতিটিকে সরিয়ে শাবকটির মৃতদেহ উদ্ধার করে বেলিয়াতোড় রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যান বনকর্মীরা। সেখানেই ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহটি মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়।

বন দফতরের কেন্দ্রীয় চক্রের মুখ্য বনপাল এস কুলানডাইভেল বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে মৃতদেহ দেখে মনে হচ্ছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শাবকটির মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। ঘটনার তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাবকটির মৃত্যুর পর হাতির দলটি আক্রমণাত্মক মেজাজে রয়েছে। আমরা দলটির উপর কড়া নজর রাখছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement