বীরভূমে নীলগাই। — নিজস্ব চিত্র।
ধানজমি জুড়ে ছুটে বেড়াচ্ছে চারপেয়ে এক প্রাণী। কেউ বলছেন হরিণ। আবার কারও মতে তা নীলগাই। মঙ্গলবার এমনই দৃশ্য দেখা যায় বীরভূমের পাড়ুইয়ের অবিনাশপুর এলাকা জুড়ে। পরে খবর পেয়ে বনকর্মীরাও ময়দানে নামেন । দীর্ঘ চেষ্টার পর বুধের সকালে প্রাণীটিকে বন্দি করতে পারেন বনকর্মীরা।
মঙ্গলবার সকালে ধানজমিতে ওই চারপেয়ে প্রাণীটিকে দেখতে পান অবিনাশপুরের বাসিন্দারা। তা দেখতে মুহূর্তেই ভিড় জমে যায়। সেটা কী প্রাণী তা নিয়ে ধন্ধ শুরু হয় অবিনাশপুরের বাসিন্দাদের মধ্যে। কারও দাবি, সেটা হরিণ। কেউ আবার প্রাণীটির আকার দেখে জানিয়ে দেন, ওটা নীলগাই। কিন্তু বীরভূমে নীলগাই কোথা থেকে আসবে তা নিয়েও নতুন রহস্য দানা বাঁধে। এর মধ্যেই জনসমাগম দেখে ভয় পেয়ে প্রাণীটিও স্থানবদল করতে থাকে। সেটা অবিনাশপুর থেকে কখনও পাড়ি দেয় ইমাদপুর বা বাদিলপুরে।
শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে নীলগাই। — নিজস্ব চিত্র।
শেষ পর্যন্ত খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। বনদফতরের দুবরাজপুর, সিউড়ি, বোলপুর এবং রাজনগরের চারটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। মঙ্গলবার দিনভর চেষ্টার পরেও বন দফতরের কর্মীরা ওই প্রাণীটিকে ধরতে পারেননি। বুধবার সকাল থেকে আবার প্রাণীটিকে ধরার চেষ্টা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত প্রাণীটিকে জালবন্দি করতে পারেন তাঁরা। দেখা যায় সেটা একটি নীলগাই।
বনকর্তাদের প্রাথমিক অনুমান, ঝাড়খণ্ড থেকে দলছুট হয়ে নীলগাইটি বীরভূমে চলে এসেছিল। এর পর অচেনা জায়গায় এসে নীলগাইটি হতভম্ব হয়ে পড়ে এবং জনবসতি এলাকায় ঢুকে পড়ে। নীলগাইটিকে পরীক্ষার পর অনুকূল পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে বনদফতর সূত্রে। এ নিয়ে বীরভূম জেলার বিভাগীয় বনাধিকারিক (ডিএফও) ডিএম প্রধান বলেন, ‘‘প্রাণীটি একটি নীলগাই। আমরা সেটাকে ধরতে সক্ষম হয়েছি।’’