ভাইফোঁটার সন্ধে ‘মাছের কচুরির’ সঙ্গে। ছবি সৌজন্যে : ইট, রিড অ্যান্ড কুক।
মধ্য বয়সে এসে মাঝেমধ্যে সকলেরই হঠাৎ করেই ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই স্কুলবেলার জীবনে। কলকাতায় পুরনো পাড়ায় কাটানো ভাই-বোনের নিশ্চিন্তের ছোটবেলা। বিশেষ বিশেষ দিনগুলিতে মনে পড়ে যায় সেই সব স্মৃতি। ব্যস্ত জীবনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে সেই ভাই-বোনের বয়সও। বিদেশে থাকা ভাই এবং কলকাতায় থাকা বোনের খুনসুটি, আবদার, ভালবাসা কিন্তু এখনও অটুট আছে। ভাইফোঁটা উপলক্ষে দেশে ফিরেছে ভাই। এই ভাইফোঁটায় ভাইয়ের আবদার, এমন কিছু করতে হবে যাতে সেই ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। তাই ভাইকে চমকে দিতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলতে পারেন কলকাতার ‘নস্টালজিয়া’ মাছের কচুরি।
কী ভাবে বানাবেন মাছের কচুরি?
উপকরণ
কচুরির জন্য
ময়দা : ২ কাপ
ঘি : ২ টেবিল চামচ
নুন : স্বাদ অনুযায়ী
গরম জল : ময়দা মাখার জন্য
তেল : ২ কাপ
পুরের জন্য
ভেটকি মাছ : ৩০০ গ্রাম
পেঁয়াজ : ১টি
রসুন : ২-৩ কোয়া
আদা : ছোট এক টুকরো
হলুদ গুঁড়ো : আধ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো : ১ চা চামচ
পাঁচ ফোড়ন : ১ চা চামচ
ভাজা জিরে গুঁড়ো : ১ চা চামচ
গরম মশলা : ১ চা চামচ
কাঁচা লঙ্কা : ৩-৪টি
সরষের তেল : ২ টেবিল চামচ
পাতি লেবু : ১টি
ধনে পাতা : আধ কাপ
নুন : স্বাদ অনুযায়ী
চিনি : এক চিমটে
মাছের পুর ঠান্ডা হলে হাত দিয়ে চটকে মেখে নিন। ছবি সৌজন্যে : ইট, রিড অ্যান্ড কুক।
প্রণালী
১) ময়দা ভাল করে চেলে নিয়ে অল্প একটু নুন এবং ঘি মিশিয়ে নিন। ময়দা ঝুরঝরে হয়ে গেলে হালকা গরম জল দিয়ে মেখে রাখুন।
২) এ বার মাছের ফিলেগুলো ছোট ছোট টুকরো করে রেখে দিন। কাঁটা থাকলে ছাড়িয়ে রাখুন।
৩) কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করতে দিন।
৪) তেল গরম হলে পেঁয়াজ, রসুন এবং আদা বাটা দিয়ে কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন।
৫) এর মধ্যে দিন অল্প হলুদ, লঙ্কা, জিরে গুঁড়ো।
৬) এ বার মাছের টুকরোগুলি দিয়ে নাড়তে থাকুন।
৭) মাছ ভাজা ঝুরঝুরে হয়ে এলে তার মধ্যে দিন লঙ্কা কুচি, নুন, অল্প চিনি।
৮) একটু নাড়াচাড়া করে গ্যাস বন্ধ করে দিন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন লেবুর রস এবং ধনে পাতা। ঠান্ডা হলে হাত দিয়ে চটকে মেখে নিন।
৯) এ বার মেখে রাখা ময়দা থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিন।
১০) লেচির ভিতরে মাছের পুর ভরে হালকা করে বেলে নিন।
১১) কড়াইয়ে সাদা তেল গরম হতে দিন। ডুবো তেলে কচুরি ভেজে তুলে নিলেই তৈরি মাছের কচুরি।