নিজস্ব চিত্র
অষ্টমীর সকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন যুবক। শুক্রবার ঝোপ থেকে উদ্ধার হল তাঁর মুণ্ডহীন পচাগলা দেহ। বাকুঁড়া শহর লাগোয়া কেশিয়াকোল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতের নাম সুজন রুইদাস (২৪)। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, সুজনকে খুন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, অষ্টমীর সকাল খেকেই সুজনের খোঁজ মিলছিল না। আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্তর খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান না মেলায় বাঁকুড়া সদর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। এর পর শুক্রবার সকালে এলাকায় পচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়তেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। খোঁজাখুঁজি শুরু হতেই একটি ঝোপ থেকে সুজনের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। কিছু ক্ষণ পর তার ১০ ফুট দূর থেকে উদ্ধার হয় সুজনের কাটা মুণ্ডু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সুজনের পরিবার। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। মৃতের পরিবারের সদস্য সাথী রুইদাস বলেন, ‘‘অষ্টমীর দিন থেকেই সুজন নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে জানতে পারি, সুজনের দেহ ঝোপের মধ্যে পড়ে রয়েছে। সুজনকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’’
পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসীরা। পুলিশ কুকুর এনে দ্রুত তদন্ত শুরু করা দাবি জানানো হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাতে গেলে বাধা দেওয়া হয় তাতেও। পরে অবশ্য দ্রুত তদন্তের আশ্বাস পেয়ে দেহ নিয়ে যেতে দেয় এলাকাবাসীরা। সুজনের দেহ বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের ডিএসপি (শৃঙ্খলা ও প্রশিক্ষণ) সুপ্রকাশ দাস বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে অনুমান, অন্তত তিন থেকে চার দিন আগে যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’’