জুনিয়র ডাক্তারদের সাংবাদিক বৈঠক। মঙ্গলবার সকালে আরজি কর হাসপাতালে। —নিজস্ব চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করলেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আরজি কর হাসপাতালে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। পূর্বঘোষণা মোতাবেক, প্রতীকী অনশন শুরু হয় রাজ্যের অন্য মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও। জুনিয়র ডাক্তারদের এই অনশনে যোগ দেবেন সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ ছাড়াও একটি ‘মহামিছিল’-এরও ঘোযণা করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের সময় কলেজ স্কোয়্যার থেকে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ পর্যন্ত মিছিল হবে।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আরজি কর হাসপাতালে প্রতীকী অনশনে বসেন সাত জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের প্রতিনিধি হিসাবে সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন আরজি করের মেডিক্যাল অফিসার তাপস প্রামাণিক। তাপস ছাড়াও বাকি যে ছয় চিকিৎসক প্রতীকী অনশনে বসলেন তাঁরা হলেন নীলাকাশ মণ্ডল, পারমিতা থান্ডের, প্রবুদ্ধ দত্ত, শুভদীপ বিশ্বাস, তুহি হাজরা এবং অনুপম রায়। সেখানে জুনিয়র ডাক্তারেরা পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য মেডিক্যাল কলেজের ‘অনিয়ম’ নিয়ে সরব হন। কাউন্সিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারেরা। তাঁদের কটাক্ষ, “যাঁদের নিজেদের এথিক্স নেই, তাঁরা ডাক্তারদের এথিক্স শেখাচ্ছেন।”
সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের পরিকল্পনাও নিয়ম মেনে হয়নি বলে অভিযোগ আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারদের। মেডিক্যাল কাউন্সিলের বৈঠক না ডেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, “সুদীপ্ত রায় হেল্থ রিক্রুটমেন্টের বোর্ডের মাথায় বসে রয়েছেন। উনি আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যানও বটে। ওঁর আমলেই যত ঘটনা। উনিই সন্দীপ ঘোষদের সমর্থন করে গিয়েছেন।” বিতর্কিত দুই চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস এবং অভীক দের বিরুদ্ধে প্রশাসন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেনি কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা।
ধর্মতলায় আমরণ অনশন চালানো সাত জুনিয়র চিকিৎসকের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে জানিয়ে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়, “প্রশাসনের উচিত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা। ওঁদের শরীরে চিরস্থায়ী ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।”