মালদহে জেলা কংগ্রেস দফতরে ছবির সারি। নিজস্ব চিত্র।
মালদহ জেলা কংগ্রেস দফতরে প্রয়াত কংগ্রেস নেতাদের ফটোফ্রেমের সারিতে রাখা জেলার বর্ষীয়ান দলীয় তথা মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)-র ছবি। তা নিয়েই বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ডালু এখনও জীবিত। তবু তাঁর ছবি প্রয়াত কংগ্রেস নেতাদের সারিতে কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব বিষয়টি ‘ছোট ভুল’ বলে এড়িয়ে গিয়েছে।
জেলা কংগ্রেসের দফতরে হায়াত ভবনের নতুন কক্ষে ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, গনি খানের পাশাপাশি ডালুর বোন তথা প্রয়াত বিধায়ক রুবি নুরের ছবিও রয়েছে। তারই সঙ্গে রয়েছে মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ ডালুর ছবিও। এ প্রসঙ্গে ডালুর ছেলে তথা প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরী বলেন, ‘‘উনি (ডালু) সুস্থ আছেন। ভালো আছেন। ভুল করে এমনটা করে ফেলছেন আমাদের দলের কিছু কর্মীরা।
পুরাতন মালদার প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক ভুপেন্দ্রনাথ হালদার জানান, এমনটা হয়েছে তা তিনি লক্ষ্য করেননি। তবে সেই সঙ্গেই তাঁর মন্তব্য, ‘‘আবু হাসেম খান চৌধুরী জেলা কংগ্রেসের অভিভাবক। তাঁর ছবি দলীয় কার্যালয়ে অন্যান্য বিশিষ্ট প্রয়াত কংগ্রেস নেতা ও মনীষীদের পাশে থাকতেই পারে। তাতে বিতর্কের কিছু নেই।
অন্য দিকে, মালদহের আরও এক প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘এমন হয়েছে তা আগে লক্ষ্যই করেননি। ভুল হয়েছে।’’ অন্য দিকে, জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করেন কংগ্রেসকে।