PHE Department & Panchayat Department

গ্রামীণ এলাকায় কাজ করতে পঞ্চায়েত দফতরের অনুমতি নিতে হবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে

এসওপি মেনে রাস্তা কাটা ও তার পর মেরামতির কাজ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার প্রশাসনকে ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৪৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরই নড়েচড়ে বসল পঞ্চায়েত দফতর। তাদের তরফে বিশেষ রূপরেখা (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) তৈরি করা হয়েছে। এ বার থেকে পঞ্চায়েত দফতরের অনুমতি ছাড়া গ্রামীণ এলাকায় কাজ করতে পারবে না জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।

Advertisement

সম্প্রতি পর্যালোচনা বৈঠকে গ্রামীণ এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাজ নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী পুলক রায়ের উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘বহু গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জল দেওয়ার কাজ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। কিন্তু, পাইপলাইন বসানোর সময় রাস্তা খোঁড়াখুড়ি করা হলেও পরে তা সারাই করে দেওয়া হয় না। আগামী দিনে এমন অভিযোগ পেলে আর কোনও প্রকল্পের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হবে না।’’ মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পর নড়েচড়ে বসে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ও পঞ্চায়েত দফতর। তৈরি করা হয় এসওপি। তা মেনেই রাস্তা কাটা ও তার পর মেরামতির কাজ করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার প্রশাসনকে ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর।

পঞ্চায়েত দফতর সূত্রে খবর, পানীয় জলের লাইন বসানোর অন্তত দু’সপ্তাহ আগে রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থাকে বিষয়টি জানাতে হবে। এর পর পঞ্চায়েত এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের থেকে সংশ্লিষ্ট রাস্তায় পরিদর্শন করা হবে। কী ভাবে গোটা কাজ হবে, তা নিয়ে আলোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাইপলাইন বসানোর পর যাতে দ্রুত সেই রাস্তা চলাচল যোগ্য করা যায়, সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হতে হবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকেই। স্থায়ী এবং অস্থায়ীভাবে মেরামতির কাজ করার জন্য সময় বেঁধে এই কাজ সম্পন্ন করতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পঞ্চায়েত দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘রাজ্যের গ্রামীণ এলাকায় জল সরবরাহের জন্য অনুমতি ছাড়াই পাইপ বসাতে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। অনেক জায়গায় পাইপলাইন বসানোর পরও রাস্তা মেরামতি করা হয় না। তাই এসওপিতে বলা হয়েছে, এ বার থেকে পাইপলাইন বসানোর জন্য খোঁড়াখুঁড়ির আগে রাস্তা নির্মাণকারী সংস্থার অনুমতি প্রয়োজন।’’

পঞ্চায়েত দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কাজ নিয়ে পঞ্চায়েত দফতরে অভিযোগও জমা পড়েছিল। কিন্তু প্রশাসনিক কারণে পদক্ষেপ করা যাচ্ছিল না। কিন্তু নবান্নের পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে উষ্মাপ্রকাশ করতেই পদক্ষেপ নিয়েছে পঞ্চায়েত দফতর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement