ধর্মতলায় ধুন্ধুমার। তার জেরে আতঙ্ক আশপাশের এলাকায়। — নিজস্ব চিত্র।
ভরদুপুরে কলকাতার প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলায় পুলিশ এবং ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)-এর কর্মীদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ। আর তার ধাক্কা এসে লাগল আশপাশেও। ধর্মতলায় থমকে গেল যানবাহন। সেই সঙ্গে কিছু ক্ষণের জন্য ছেদ পড়ল ধর্মতলার গতিতেও।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার ধর্মতলায় রানি রাসমণি রোডে সভা ছিল আইএসএফের। কিন্তু সেখান থেকেই বাধল ধুন্ধুমার কাণ্ড। পুলিশের লাঠিচার্জ এবং আইএসএফ কর্মীদের ইটবৃষ্টির জেরে শনিবার দুপুরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ধর্মতলা। পুলিশের তাড়া খেয়ে রানি রাসমণি রোড থেকে স্রোতের মতো ধেয়ে যান ডোরিনা ক্রসিংয়ের দিকে। তার ফলে সেই ধুন্ধুমারের ধাক্কা গিয়ে লাগে ধর্মতলার ওই এলাকার আশপাশেও। ঘণ্টাখানেক থমকে যায় যানবাহন চলাচল। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ওই এলাকা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থেকে ধর্মতলায় ডায়েরি এবং কাগজকলম কিনতে এসেছিলেন দিলীপ মিত্র নামে এক প্রৌঢ়। দলে দলে মানুষকে ওই দিকে ধেয়ে আসতে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন দিলীপ। সেই সময়ের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে দিলীপ বললেন, ‘‘অত মানুষকে ওই ভাবে আসতে দেখে আমি অন্য দিকে চলে যাই। সেই সময় বাসও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।’’ পরে জিনিসপত্র কিনে আবার বাস ধরে বিষ্ণুপুরের উদ্দেশে রওনা দেন দিলীপ।
শ্যামনগর থেকে কলকাতা গিয়েছিলেন তন্ময় চৌধুরী নামে এক যুবক। প্রবল ভিড় এবং ঠেলাঠেলিতে জুতো হারিয়ে ফেলেন তিনি। আতঙ্কে ঢুকে পড়েন এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে। যে কাজে ট্রেন ধরে শহরতলি থেকে কলকাতা আসা তার, তা অবশ্য দিনের শেষে হয়ে ওঠেনি। খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হয় তাঁকে। ছেলের জন্মদিন সামনে। উলুবেড়িয়া থেকে ধর্মতলায় ছেলের জন্য জামাকাপড় কিনতে এসেছিলেন সুশান্ত মৌলিক নামে এক যুবক। জামাকাপড় কেনা হলেও হুড়োহুড়ির ঠেলায় বাস ধরা হয়ে ওঠেনি তাঁর। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় কলকাতা ছাড়েন সুশান্ত।