Saif Ali Khan Attack Case

বিপদ যেন কাটছেই না! সইফের পর এ বার বোন সাবা, কী ভাবে হাত ভাঙল শর্মিলা-কন্যার?

মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সইফ। এর মাঝেই অসুস্থ সইফের বোন সাবা পাটৌদী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:০৮
Share:

সইফ বাড়ি ফিরেছেন, এ দিকে অসুস্থ সাবা। ছবি: সংগৃহীত।

সারা শরীরে ছ’টি জখম নিয়ে, মাত্র আট বছরের ছেলের হাত ধরে অটোরিকশায় চড়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সইফ আলি খান। আড়াই ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, প্রায় সিংহের মতোই সে সময় হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিনেতা, সারা শরীরে রক্ত। তবু মুখে নেই যন্ত্রণার ছাপ।

Advertisement

এ বার ভাইয়ের সহ্যশক্তির কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন বোন সাবা। বুঝিয়ে দিলেন এই শক্তি আসলে জন্মসূত্রে প্রাপ্ত— বাবা মনসুর আলি খান পটৌদীও ছিলেন এমনই। গত ১৬ জানুয়ারি, যখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সইফ, তখন সাবা ছিলেন লন্ডনে। বন্ধু বাঙালি অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে জানিয়েছিলেন, কতটা চিন্তিত তিনি। সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। দেখা করেছেন সইফের সঙ্গে। তাঁর সুস্থতা খানিকটা নিশ্চিন্ত করেছে সাবাকে। কিন্তু এরই মধ্যে নিজের হাতটি ভেঙেছেন তিনি। বিপদ যেন কাটতেই চাইছে না পটৌদী পরিবারে।

মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি ভাগ করে তিনি জানিয়েছেন, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পেরে তিনি খুশি। আরও বেশি খুশি গত দু’দিনে সইফ যে ভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তা দেখে। আর এর পরই তিনি লিখেছেন, “এই সময় আমি অনুভবই করতে পারিনি আমার আঙুলগুলো ভেঙেছি।” এই প্রসঙ্গেই তিনি স্মরণ করেছেন সইফের ক্ষতগুলির কথা। পাশপাশি বলেছেন মনসুর আলি খান পটৌদীর সেই সব চোট-আঘাতের কথা, যা তিনি ক্রিকেট খেলতে গিয়ে পেতেন তিনি।

Advertisement

গত এক সপ্তাহ ধরে সংবাদ শিরোনামে পটৌদী পরিবার। রাতের অন্ধকারে মুম্বইয়ের অভিজাত আবাসনে ঢুকে সইফ আলি খানের উপর ছুরি নিয়ে চড়াও হন এক ব্যক্তি। এলপাথাড়ি কোপে হাত, ঘাড়, শিরদাঁড়ায় গুরুতর আঘাত পান অভিনেতা। পাঁচ দিন হাসপাতালে থেকে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। খানিকটা স্বস্তি এসেছে পটৌদী পরিবারে। কিন্তু এর মাঝেই খবর এসেছে, অসুস্থ সইফের বোন সাবা পাটৌদী।

সাবা লেখেন, “এর মাঝে আমি ভুলেই গিয়েছিলাম আমার হাতটাও ভেঙেছে! কেবলই মনে হচ্ছে এটা তেমন কোনও ব্যাপার না। ভাইয়ের ক্ষত ও বাবা যখন ক্রিকেট খেলতেন সেই সময় যা চোট পেয়েছেন তার কাছে এটা কিছুই না। এমন একটা সময় আমরা গোটা পরিবার একসঙ্গে আছি, আর কী চাই!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement