অবরোধের জেরে নাকাল যাত্রীরা। — ফাইল চিত্র।
কুড়মি সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্ত করার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে অবরোধ শুরু হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর লোকাল থানার খেমাশুলি এবং পুরুলিয়ার কুস্তাউর রেলস্টেশনে। তার জেরে বাতিল হয়েছে একাধিক ট্রেন। আবার অনেক ট্রেন চলছে দেরিতে। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়ায় সরাসরি প্রভাব পড়েছে এই অবরোধের। বাঁকুড়ায় অবরোধ না হলেও ট্রেন বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন বহু মানুষ। ঝাড়গ্রামে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কেও চলছে অবরোধ।
বুধবার ভোর ৫টা থেকে খেমাশুলি এবং কুস্তাউর রেলস্টেশনে চলছে অবরোধ। বিক্ষোভকারীরা রেললাইনে নেমে ধামসা মাদল বাজিয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন। কুড়মিদের প্রস্তাবিত রেল অবরোধের ঘোষণার পর বুধবার ৪৮টি ট্রেন বাতিল করেছিলেন দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, বেশ কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্তও করা হয়। তার জেরে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পথে নেমে নাকাল হয়েছেন অনেকে। ঝাড়গ্রামে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধের জেরে আটকে পড়েছে বহু যানবাহন। বাঁকুড়ায় সড়ক বা রেল অবরোধ না হলেও পুরুলিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর এই দুই জেলার অবরোধের প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবায়। বুধবার সকাল থেকে খড়্গপুর এবং আদ্রা শাখার বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। কয়েকটি ট্রেনের যাত্রাপথ খাটো করা হয়েছে। তা ছাড়া একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রাপথ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে খেমাশুলিতে ছয় নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিল কুড়মি সমাজ, তা বুধবার আরও বড় আকার নিয়েছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, খড়্গপুর শাখায় মোট ৪৮টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। খড়্গপুর-টাটানগর লাইনের খেমাশুলিতে বুধবার ভোর থেকে অবরোধের ঘোষণা করেছেন কুড়মিরা। একই ভাবে আদ্রা শাখার আদ্রা-চাণ্ডিল লাইনে কুস্তাউরে রেল অবরোধের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এই জোড়া অবরোধের জেরে পুরুলিয়া-হাওড়া এক্সপ্রেস, আদ্রা-পুরুলিয়া স্পেশাল-সহ মোট ৪৮টি ট্রেন বাতিল করেছেন রেল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া, ৮টি ট্রেনের যাত্রাপথে কাটছাঁট করা হয়েছে। সেগুলির মধ্যে রয়েছে হাওড়া-আদ্রা-চক্রধরপুর এক্সপ্রেস।পরিস্থিতি বিবেচনা করে বুধবার বাতিল করা হয়েছে আরও কিছু ট্রেন।