Sealdah Train Service Disruption

বন্ধ স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল, ঝান্ডা নেড়ে চলছে ট্রেন, শনিবারও যাত্রীভোগান্তি শিয়ালদহ ডিভিশনে

যাত্রীদের অভিযোগ, রেলের তরফে আগাম কাজ চলার কথা জানানো হলেও, বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়নি। ফলে এমন দুর্ভোগের আশঙ্কাও করেননি যাত্রীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ ১৯:৪৫
Share:

দেরিতে চলছে ট্রেন। ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র।

শিয়ালদহ ডিভিশনের মেন সেকশনে যাত্রীদের দুর্ভোগ চলছেই। বিধাননগর স্টেশন থেকে শিয়ালদহে যেতে কিংবা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দমদম পর্যন্ত পৌঁছতেই দীর্ঘ সময় লাগিয়ে দিচ্ছে লোকাল এবং দূরপাল্লার ট্রেনগুলি। যাত্রীস্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে, এই যুক্তিতে শিয়ালদহের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আর এই কাজের জন্যই শিয়ালদহ স্টেশনের ওই অংশে বৈদ্যুতিন সিগন্যালগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছে। অত্যাধুনিক ইন্টারলকিং সিস্টেমে জোড়া হচ্ছে গোটা শিয়ালদহ স্টেশনকে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে তাই লাল ও সবুজ রঙের ঝান্ডা নাড়িয়েই ট্রেনগুলিকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একই রকম ভাবে শিয়ালদহে ঢোকার জন্যও ট্রেনচালককে দেখানো হচ্ছে লাল-সবুজ ঝান্ডা।

Advertisement

স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থার পরিবর্তে ‘হস্তচালিত’ ব্যবস্থায় ট্রেন চালাতে গিয়ে অস্বাভাবিক দেরি হচ্ছে। রেলকর্মীদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিয়ালদহ মেন এবং উত্তর শাখায় ট্রেন চলাচলের জন্য মোট ১৪টি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। ওই প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে ট্রেন ছাড়ার পর সেগুলি পরে মূলত চারটি লাইনে গিয়ে মেশে শিয়ালদহ কার শেডের কাছে। বৈদ্যুতিন সিগন্যালিং ব্যবস্থা ছাড়া এই জটিল ব্যবস্থাকে সচল রাখা কার্যত অসম্ভব। ‘ম্যানুয়াল’ পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে গিয়ে ‘জ়িগজ়্যাগ ক্রসিং’গুলোয় রেলকর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে। সেখানে পয়েন্ট ‘ক্ল্যাম্প’ করে তাঁরা চালককে ঝান্ডা নেড়ে সঙ্কেত দিচ্ছেন ট্রেন এগোনোর। এ কর্মপদ্ধতিটি অত্যন্ত সময়সাপেক্ষ। সে কারণেই শনিবার শিয়ালদহ থেকে লোকাল বা এক্সপ্রেস ট্রেন ছাড়তে ভয়াবহ দেরি করেছে। একই রকম ভাবে দমদম থেকে শিয়ালদহে পৌঁছতে রাজধানী এক্সপ্রেসের পৌঁছতে সময় লেগেছে প্রায় চার ঘণ্টা। দুরন্ত এক্সপ্রেসেরও প্রায় একই সময়ে লেগেছে। লোকাল ট্রেনের অবস্থা তার চেয়েও খারাপ।

যাত্রীদের অভিযোগ, রেলের তরফে আগাম কাজ চলার কথা জানানো হলেও, বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করা হয়নি। ফলে এমন দুর্ভোগের আশঙ্কাও করেননি যাত্রীরা। শুক্রবার যে হেতু শুধুমাত্র ওভারহেড তার এবং প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের কাজ হয়েছে, তাই সমস্যা মাত্রা ছাড়ায়নি। কিন্তু শনিবার সিগন্যাল সিস্টেম পাল্টানোর প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পরিষেবা।

Advertisement

রেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, যাত্রীস্বাচ্ছন্দ বৃদ্ধির লক্ষে বৈদ্যুতিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। এই কাজের জন্য শিয়ালদহ স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বন্ধ রাখা হয়েছে সিগন্যালিং ব্যবস্থা। কর্তৃপক্ষ এ-ও জানিয়েছেন যে, এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে পুরনো ওভারহেড তার বদলে নতুন তার লাগানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই কাজ দ্রুত শেষ হবে বলেও জানিয়েছে রেল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement