বন্ধ হল গরুমারা অভয়ারণ্যের গেট। —নিজস্ব চিত্র।
আগামী তিন মাসের জন্য সমস্ত জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে প্রতি বছরের মতো। ডুয়ার্সের জঙ্গলে বুধবার থেকে আগামী তিন মাস ঢুকতে পারবেন না পর্যটকরা। তবুও এই সময়েও খোলা ডুয়ার্সের বেশ কিছু এলাকা। যা মন কেড়ে নেবে পর্যটকদের।
বন্যপ্রাণীদের প্রজননের সময় ধরা হয় মূলত ১৫ জুন থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পাশাপাশি বর্ষার সময় জঙ্গলের গাছপালাও বাড়ে। তাই পর্যটকদের প্রবেশে প্রতি বারই এই সময়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। যাতে বন্যপ্রাণীরা প্রজননকালীন সময়ে কোনও ভাবে বিরক্ত না হয়। ফলে এই তিন মাস গোটা দেশের অন্যান্য বনাঞ্চলের মতো ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যান, নেওড়া ভ্যালি, চাপড়ামারি, জলদাপাড়া, বক্সা-সহ বিভিন্ন যে সংরক্ষিত জঙ্গল এবং জাতীয় অভয়ারণ্য রয়েছে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আপাতত বন্ধ থাকছে জঙ্গলের গভীরে রাত্রিবাস, হাতি সাফারি এবং জঙ্গল সাফারিও। পর্যটকরা ইচ্ছে থাকলেও এই তিন মাস বন বাংলোগুলিতে রাত কাটাতে পারবেন না।
তবে পর্যটকদের নিরাশ করবে না ডুয়ার্স। জিয়াউর রহমান নামে ডুয়ার্সের এক পর্যটন ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘জঙ্গল বন্ধ থাকলেও, বর্ষায় এই সময়টায় ডুয়ার্সের আসল রূপ দেখা যায়।’’ তবে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার পর কিছু এলাকাকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তবে ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ফের পর্যটকদের জন্য সমস্ত জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য এবং সংরক্ষিত বনাঞ্চল খুলে দেওয়া হবে।