কর্মসূচির আগেই বিবাদে জড়াল দুই গোষ্ঠী। — নিজস্ব চিত্র
রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক যোগ দেওয়ার আগেই দলীয় কোন্দলে তপ্ত হয়ে উঠল মালবাজারে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র কর্মসূচি। তৃণমূলের আদিবাসী নেতা অগাস্টাস কেরকাট্টা এবং আইএনটি টিইউসি-র জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া প্রকাশ্যেই ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজেশ। বিষয়টির মীমাংসা না হলে এতে ‘বিরাট ক্ষতি’ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজেশ।
শুক্রবার মালবাজারের এলেনবাড়ি এলাকা থেকে শুরু হয় ৫ দিন ব্যাপী তৃণমূলের পথযাত্রা। কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মন্ত্রী মলয়ের। তার আগেই বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তৃনমূলের দুই শ্রমিক নেতা অগাস্টাস এবং রাজেশ। সেই সময় অগাষ্টাসকে শারীরিক ভাবে নিগৃহীত করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাচক্রে ওই সময়ে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি মহুয়া গোপ এবং অন্যান্য নেতৃত্ব। অগাস্টাসের অভিযোগ, ‘‘আমাদের ওরা বলছে ‘বিজেপির লোক’। আমার গায়ে হাত দিয়েছে রাজেশ। এটা আইএনটিটিইসির কর্মসূচি। আমরাই কর্মসূচির প্রস্তুতি নিয়েছি। রাজেশ তাতে ছিল না। ও সভা করতেও আসেনি। আমরা চাইব, দলের উচ্চনেতৃত্ব যেন এই সমস্যার মীমাংসা করে। না হলে এতে বিরাট ক্ষতি হবে।’’
কেরকেট্টাকে মঞ্চেও উঠতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এই সংঘাত নিয়ে মহুয়ার বক্তব্য, ‘‘এটা দলের কর্মসূচি। কেরকেট্টার গতিবিধির উপর নজর আছে দলের। তাই তাঁকে এই কর্মসূচি থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।’’
অগাষ্টাসের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজেশ। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও ভাবেই অগাষ্টাসের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করিনি। যারা প্রকৃত তৃণমূল তারা দলবিরোধী কাজ করে না।’’ এর পাশাপাশি, রাজেশের খোঁচা, যারা গদ্দার তারা তৃণমূলে না থাকলেই ভাল।