শিশু নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের নিশ্চিত করতে সরকারের সক্রিয়তা চান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা আড়াল করার প্রবণতায় উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেছেন, ‘‘নির্যাতিত শিশু এবং নির্যাতনকারী যদি একই পরিবারের সদস্যও হন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। পারিবারিক সম্মান যে বৃহত্তর ঘটনার ঊর্ধ্বে নয়, সে বিষয়ে প্রচার চালাতে হবে সরকারকে।’’
শনিবার ‘শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন’ (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস বা পকসো)-এর প্রয়োগ সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা গোপন করার এই প্রবণতা দুর্ভাগ্যজনক। নীরবতার এই সংস্কৃতি অপরাধীদের উৎসাহিত করবে। যে শিশুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, সরকারকে তাদের এবং তাদের পরিবারের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।’’
শিশুদের উপরে যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে অপরাধ ও তার মাত্রা বিশেষে শাস্তির বিধান রয়েছে আইনে। এই আইনের প্রায় সবক’টি অপরাধই জামিন অযোগ্য। কিন্তু অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই ভয় বা অসম্মানের আশঙ্কায় নির্যাতিত শিশুর পরিবার ঘটনা গোপন করেন। যদিও নিকটবর্তী থানায় যেতে সমস্যা হলে ফোন করে থানা বা চাইল্ডলাইনে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে। আইন বলছে, শিশুর উপরে যৌন নির্যাতন হতে দেখেও গোপন করে যাওয়ার চেষ্টা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, অতিমারি পর্বে লকডাউনের সময় থেকে দেশে পারিবারিক হিংসার পাশাপাশি শিশুদের যৌন নিগ্রহের ঘটনাও অনেকটা বেড়েছে। বছর দু’য়েক আগে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন বেঙ্কটরামন। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের মতে, এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের উচিত ‘নিরাপদ স্পর্শ’ এবং ‘অনিরাপদ স্পর্শের’ পার্থক্য সম্পর্কে শিশুকে সচেতন করে তোলা।