ঋষভ শাস্ত্রীয় গান গাইছেন, উপদেশ দিলেন কৌশিকী চক্রবর্তী। সংগৃহীত।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় একটি বিজ্ঞাপন করেন ঋষভ পন্থ। যদিও সেটা মাসখানেক আগেকার কথা। সেখানে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পীদের প্রসঙ্গ টেনে কৌতুকের ভঙ্গিমায় অভিনয় করতে দেখা যায় ঋষভকে। তাঁকে দেখানো হয় এক অসফল সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবে, যেন ক্রিকেটার না হলে এই কাজটাই করতেন। বিজ্ঞাপনের শেষে ঋষভ বলেন, ‘‘আমি আমার স্বপ্নকে অনুধাবন করেছি।’’ এই বিজ্ঞাপন দেখেই বেজায় ক্ষিপ্ত হন শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী। ক্ষুব্ধ গায়িকা টুইটে লেখেন, ‘‘এই বিজ্ঞাপন দেখে বিরক্ত। একেবারে কুৎসিত একটি কাজ, নিজেদের ঐতিহ্যকে ছোট করে দেখানোর উদাহরণ। এমন কাণ্ড কেবল মাত্র নির্বোধরাই করতে পারেন।’’
এক মাস আগেকার একটি বিজ্ঞাপনকে নিয়ে এত দিন বাদে কেন সরব হলেন কৌশিকি? এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে সঙ্গীতশিল্পী বলেন, ‘‘আমি ক্রিকেট দেখি না, ঋষভ পন্থকে চিনি না, দিন কয়েক আগে সমাজমাধ্যমে এক জন এই বিজ্ঞাপন দেখার অনুরোধ জানান, তখনই দেখি এবং অসম্মানিত বোধ করি। আমার ঋষভ পন্থের বিরুদ্ধে কিছুই বলার নেই। কোনও এক জন মানুষকে নয় বরং এই বিজ্ঞাপনের যাঁরা নির্মাতা, লেখক, তাঁদের সকলের উদ্দেশে বলতে চাই, এ ধরনের কাজ যাতে না করেন।’’
এমনিতেই কৌশিকী নির্বিবাদী প্রকৃতির মানুষ, কখনও কোনও বির্তকে নিজেকে জড়ান না। তবে এ বার চুপ করে থাকতে পারেননি, গায়িকার কথায়, ‘‘আমার সংস্কৃতি আমার কাছে পরিবারের সমান। তার উপর আঁচ আসায় চুপ করে থাকা সম্ভব নয়। আসলে এটা হতে দেওয়া মানে আমার পরিবারকে অসম্মান করা।’’
কৌশিকী বলেন, ‘‘আসলে এটা তো আমাদের ঐতিহ্য, এটা উপহার পাইনি আমরা, পেয়েছি পরম্পরায়। কিছু গুণী শিল্পী এ দেশে জন্মেছিলেন বলেই তা পেয়েছি। তাকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এ ভাবেই আমরা আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করি। এটাই ভারতের ভিত। সারা বিশ্বে আমরা বন্দিত, আমাদের এই পরম্পরায় পেয়ে আসা ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আধ্যাত্মিকতার কারণে। এর পিছনে অন্য কোনও কিছুর অবদান নেই।’’ সব শেষে কৌশিকীর সংযোজন, ‘‘আমি ঋষভকে চিনি না। তা-ও বলব, ভারতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতিকে নিয়ে এ হেন মশকরায় ওঁরও প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।’’