নতুন দায়িত্ব পেলেন পিটি ঊষা। প্রথম মহিলা হিসাবে ইতিহাস গড়লেন তিনি। —ফাইল চিত্র
ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থায় ইতিহাস গড়লেন পিটি ঊষা। দেশের অলিম্পিক্স সংস্থার প্রথম মহিলা সভাপতি হলেন তিনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এই পদে বসেছেন ঊষা। তিনি যে ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার নতুন সভাপতি হবেন তা আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। শনিবার তাতে সিলমোহর পড়ল।
ভারতের অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি পদে নির্বাচন ছিল ১০ ডিসেম্বর। ২৭ নভেম্বর ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার উমেশ সিন্হা জানিয়েছিলেন, ঊষা ছাড়া আর কেউ সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেননি। আর কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় ঊষা যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি হবেন তা নিশ্চিত ছিল।
২৭ নভেম্বরই টুইট করে ঊষাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি লিখেছিলেন, ‘‘ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ পিটি ঊষাকে শুভেচ্ছা জানাই। আরও যে সব ক্রীড়াব্যক্তিত্ব দেশের অলিম্পিক্স সংস্থায় এলেন তাঁদেরও শুভেচ্ছা। সবাইকে নিয়ে গর্বিত।’’
এর আগে ভারতের বেশ কয়েকটি ক্রীড়া প্রশাসনে ক্রীড়াবিদদের বসানো হয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর পরে সেই পদে বসেছেন প্রাক্তন বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার রজার বিন্নী। ভারতীয় ফুটবল সংস্থার প্রধান হয়েছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন গোলরক্ষক কল্যাণ চৌবে। ভারতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থার সভাপতি হয়েছেন আদিল সুমারিওয়ালা। ভারতের হকি সংস্থার মাথায় বসেছেন প্রাক্তন খেলোয়াড় দিলীপ তিরকে। সেই ট্র্যাডিশন এ বার দেখা গেল অলিম্পিক্স সংস্থাতেও।
ঊষা ভারতের অন্যতম সেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ। ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে ৪০০ মিটার হার্ডলসের ফাইনালে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল ঊষার। চতুর্থ হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে এশিয়ান গেমসে ১১টি পদক জিতেছিলেন ঊষা। তার মধ্যে ছিল চারটি সোনা। ১৯৮৬ সালের সোল এশিয়ান গেমসে ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার, ৪০০ মিটার হার্ডলসে ও ৪ X ৪০০ মিটার রিলে রেসে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়ান গেমসেও ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড়ে পদক জিতেছিলেন ঊষা।
১৯৬০ সালের পরে আবার কোনও ক্রীড়াবিদ দেশের অলিম্পিক্স সংস্থার মাথায় বসলেন। এর আগে ১৯৩৮ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার সভাপতি ছিলেন মহারাজা যাদবেন্দ্র সিংহ। ১৯৩৪ সালে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।